(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
কুরআনুল কারীমের হারাকাত সংযুক্ত করেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। তার টিম এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি অত্যন্ত সথর্কতা
এবং বিশ্বস্ততার সাথে আঞ্জাম দেন। এই কারণে ইতিহাসে যেভাবে তিনি আলোচিত। ঠিক অন্য কারণে তিনি
সমালোচিতও।
তার শাসনামলের একটি ঘটনা।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নিকট সেই সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধিদল এসেছিল, যে সম্প্রদায়ের লোকেরা হযরত
মুছা আ. এবং হযরত খিজির আ.কে মেহমানদারি করেনি। তারা এসে হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে বলল যে, আপনি তো
কুরআনুল কারীমে যবর-যের লাগিয়েছেন। সুতরাং আপনি ঐ আয়াতটির মধ্যে যেরের স্থলে একটি যবর দিয়ে দিন।
এতে আমাদের লাঞ্ছনা ও অপমান দূর হয়ে যাবে। (যে তারা নবীদেরকে মেহমানদারি করেনি)। তখন হাজ্জাজ
বিন ইউসুফ উত্তরে বললেন যে, তোমরা ভিতরে বসো, আমি একটু পরে তোমাদেরকে ডাকবো। অতঃপর তিনি
জল্লাদকে ডেকে পাঠালেন এবং বললেন: ওদেরকে একজন একজন করে ডেকে গর্দান উড়িয়ে দাও। কারণ,
আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারীমে বলেছেন যে, তারা মেহমানদারি করেনি। আর এরা আমার দ্বারা কুরআনুল
কারীমের মধ্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে বলাতে চায় যে, মেহমানদারি করেছিল।
সুতরাং বুঝা গেল যে, এরা আল্লাহর সাথে আমাকে বিরোধিতা করাতে চায়। কাজেই এদেরকে গর্দান উড়িয়ে
দাও।
আফসোস যে, এই উম্মতের অত্যাচারী শাসক হাজ্জাজ
বিন ইউসুফ তো কুরআনুল কারীমের মধ্যে যেরের স্থলে যবর লাগাতে প্রস্তুত ছিল না। কারণ, এতে কুরআনের
অস্বীকৃতি হবে। আর আজকের বুযুর্গগণ (?) কুরআনুল কারীমের যেকোনো আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করে দিচ্ছে।
ইচ্ছে অনুযায়ী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করছে। আয়াতের মোড় ঘুরাচ্ছে আকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির দিকে । তাহলে উম্মতের কি
পরিণাম হবে? আর এভাবে উম্মত কুরআনের প্রতি আমলকারী হবে নাকি পরিহারকারী হবে? আল্লাহ আমাদের
হেফাজত করুন।