(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
পরীক্ষা যার মাধ্যমে মানুষের সম্মান বাড়ে আবার কারো সম্মান কমে। এর একটি আরবি প্রবাদ রয়েছে। যেমন,
عند الامتحان يكرم الرجل او يوهان
আমরা সকলেই চাই পরীক্ষার দ্বারা আমার সম্মান বৃদ্ধি পাক, কেউ চাইনা পরীক্ষার দ্বারা আমি অসম্মানিত হই।
যদি সম্মান বাড়াতে চান তাহলে পরীক্ষার পূর্বে ও পরে কিছু করণীয় রয়েছে,
সেগুলো মেনে চললে ইনশাআল্লাহ আপনি পরীক্ষার দ্বারা নিজের সম্মান বাড়াতে পারবেন।
পরীক্ষার পূর্বে বর্জনীয় বিষয় সমূহ
পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে কোন জটিল পড়া নিয়ে কারো সাথে বিতর্ক করবেনা। এই ব্যাপারে কঠোর সতর্ক থাকবে।
শিক্ষক হলে প্রবেশ করার আগ মুহূর্তে, পড়া পুনরাবৃত্তি করতে এবং কিতাবের পৃষ্ঠা উল্টাতে কঠোর ভাবে নিষেধ করেন।
কারণ এই মুহূর্তের পুনরাবৃত্তি করা ও পৃষ্ঠা উল্টানো দ্বারা গুলমাল ও বিশৃঙ্খলা ছাড়া কিছুই অর্জন হয় না।
কিন্তু অভিজ্ঞতা হলো এই উপদেশগুলো খুব কম ছাত্র-ছাত্রী গ্রহণ করে।
আর পরীক্ষার আগে এমন সহপাঠীদের সাথে কথা বলবে না, যাদের প্রস্তুতি খারাপ বা যারা আতঙ্কিত। কারণ এতে তোমার মধ্যেও আতঙ্ক সংক্রমিত হবে।
পরীক্ষার সময় করণীয় বিষয় সমূহ
উত্তর লেখার জন্য কাগজ হাতে পাওয়ার পর পরই প্রথম পৃষ্ঠার শূন্যস্থানগুলো পূরণ করে নেবে।
অর্থাৎ সংখ্যায় ও অক্ষরে ফরম নম্বর শ্রেণী বিষয়ক কিতাব ইত্যাদি তথ্যগুলো উত্তরপত্রে পূর্ণ করে দিবে।
তারপর প্রশ্নপত্র হাতে আসার পর সবগুলো প্রশ্ন পড়বে, প্রতিটি প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করবে। প্রতিটি প্রশ্নের সীমা ও পরিমাণ জানবে।
তারপর আগে পরে দুরুদ শরীফ সহ ৪১ বার يا عليم পরে উত্তর লেখা শুরু করবে।
যে প্রশ্নর উত্তর দিবে না তা বুঝেশুনে নির্ধারণ করবে। এবং নির্ধারিত সময়কে সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।
কয়েকটি জরুরী পরামর্শ
১/ জটিল প্রশ্নের উত্তর নয়, শুরু করো সহজ ও ভালোভাবে জানা উত্তরটি দিয়ে।
কোন কোন সময় কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পরে সহজ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সুযোগ থাকে না।
এক্ষেত্রে একটি আরবি প্রবাদ হলো
عصفور في اليد خير من عشره على الشجره
হাতের একটি চড়ুই গাছের দশটি থেকে ভালো।
২/বেশি নম্বর পাওয়ার আশায় জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে যেও না।
৩/প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় ভাগ করে নিবে, বরাদ্দকৃত সময়ে উত্তর শেষ না হলে ফাঁকা রেখে পুরুষের প্রশ্নে চলে যাবে।
৪/ কোন প্রশ্ন ছেড়ে আসবে না কারণ দুটো অর্ধেক উত্তর একটা সম্পূর্ণ উত্তরের বেশি নম্বর তুলবে।
পরিসমাপ্তি
মুমিনের সফলতার হাতিয়ার হল দোয়া। দোয়া ব্যতীত মুমিন সফল হতে পারেনা।
পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করতে দোয়ার বিকল্প নেই।
প্রতিবার পরীক্ষার পূর্বে ২ রাকাত সালাতুল হাজত পরে মনখুলে রবের কাছে চাইতে হবে,
রব যদি না দেন আপনি যতই প্রখর মেধার অধিকারী হন না কেন! সফল হতে পারবেন না।
আমাদের আকাবির হজরত আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন,পরীক্ষার সাত দিন পুর্ব হতে ফলাফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত
“ইয়া হাসিবু” ২১ বার করে ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর পাঠ করা।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের পর প্রশ্নপত্র হাতে আসার পরে আগে ও পরে ৩ বার করে দুরুদ শরীফ সহ “ইয়া আলিমু” ৪১ বার পাঠ করবে।
তা'ছাড়া সার্বক্ষণিক দুরুদ পাঠ করতে থাকা। সূরা নূরের ১ম ১০ আয়াত পাঠ করা।
এই আমল গুলি করলে ইনশাআল্লাহ আশাতীত ফলাফল পাওয়া যায়। (পরীক্ষিত)
কিভাবে চাইবেন পরম করুণাময়ের নিকট, Dream store ড্রিম স্টোর অনলাইন শপের শুভ উদ্বোধন,কোকাকোলা এণ্ড পেপসি কি আসলেই ইসরাইলী পণ্য