(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
মুসলমানের সাথে অপর মুসলমানের সাক্ষাৎ হলে সালাম দেওয়া মুসলিম সাংস্কৃতি, রাসূলের সুন্নত। এবং জবাব দেওয়া ওয়াজিব।
সালাম এমন ভাবে দিতে হবে যাতে শ্রোতা ভালোভাবে শুনতে পায়। মাসনুন তরিকা হল, হাতের ইশারা ব্যতীত “আসসালামু আলাইকুম” বলা। সেই
সাথে ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ওয়া বারাকাতুহু, ওয়া মাগফিরাতুহু, বৃদ্ধি করা হলে তো প্রতিটি শব্দের পরিবর্তে আরো বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে।
✒️চিঠি পত্রে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ না লিখে “সালাম মাসনুন” লিখার দ্বারা সুন্নতের উপর আমল হবে না।
✒️ তিরমিজির এক হাদীসে আছে একবার জনৈক সাহাবি “আলাইকাস সালাম ইয়া রাসুলাল্লাহ” বললে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
এটি তো মৃতদের সালাম ও মোবারকবাদ! তোমরা পরস্পরে “আসসালামু আলাইকুম” বলবে। ব্যাখ্যাকারিগণ লিখেছেন এর দ্বারা রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তম ও পরিপূর্ণ সালাম শিক্ষা দিয়েছেন। তার উদ্দেশ্য এটা নয় যে, ইহা দ্বারা সালাম হবে না।
✒️ওয়ালাইকুম আসসালাম বলার সময় হাতের দ্বারা ইশারাও করা যেতে পারে। তবে শুধুই ইশারা সালাম হতে পারে না।
✒️”আসসালামু আলাইকুম” এর জবাব সাথে সাথেই দিতে হবে। বিলম্বে দিলে জবাব না দেওয়ার গুনাহগার মনে করা হবে।
✒️ যদি সাক্ষাৎকারে আসসালামু আলাইকুম এবং ওয়ালাইকুমুস সালাম হয়ে যায় আর কিছুক্ষণের জন্য পৃথক হওয়ার পর পুনরায় সাক্ষাৎ হয় তাহলে
আবার সালাম করা এবং জবাব দেওয়া ওয়াজিব।