(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ইসলামী নামের শ্রেণীবিভাগ
সংক্ষিপ্ত নাম:
সন্তানের বা অন্যকিছুর নামের পূর্বে আবু ( পিতা), উম্মু (মাতা) যোগ না করে; পিতা এবং পূর্বপুরুষগণের নামের পূর্বে ইবনে/ বিনতে যোগ না
করে এক শব্দে বা মিশ্র শব্দে নামকরণই হচ্ছে সংক্ষিপ্ত নাম।
বংশ সূচক নাম:
পিতা বা পূর্বপুরুষগণের নামের পূর্বে ইবনু (পুত্র), বিনতু (কন্যা) সংযোগ করে নামকরণ করাকে বংশ সূচক নাম বলে।
এ ধরনের নাম করণের ফলে উদ্দেশিত ব্যক্তিকে সনাক্তকরণ সহজ হয়। কারণ এতে ব্যক্তির নামের সাথে পিতা বা পূর্বপুরুষগণের নাম সংযুক্ত থাকে।
আরবে ধরনের নামকরণের প্রচলন বেশি।
সম্বন্ধসূচক নাম :
বংশ, পেশা, বাসস্থান, জন্মস্থান ইত্যাদির বিশেষণ যুগে যে নামকরণ করা হয় তাকে সম্বন্ধসূচক নাম বলে।
বিশ্বে বহু মুসলিম মনীষী আছেন যারা সম্বন্ধসূচক নামেই বেশি বিখ্যাত হয়েছেন। যেমন: ইমাম বুখারী রহ.। বুখারা তার জন্ম স্থানের নাম। ইমাম নাসির
উদ্দিন আলবানী রহ.। আলবেনিয়া তার জন্ম স্থানের নাম।
উপাধি:
কোন কোন ব্যক্তি তার সুমহান কর্মফল, অবদান বা গুণের কারণে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত হয়ে থাকেন। যেমন:হযরত উমরের রা. নামের শেষে ফারুক
(সত্য-মিথ্যা)র পার্থক্য কারী।
হযরত আবু বকরের রা. নামের শেষে সিদ্দিক (বিশ্বাসী)।
হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদের রা. নামের শেষে সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তরবারী) ইত্যাদি।
উপনাম:
সন্তানের নামের পূর্বে আবু (পিতা) বা উম্মুকে (মাতা) সংযুক্ত করাকে উপনাম বলে।
আরবের মধ্যে উপ নামের প্রচলন আছে। যেমন:আবুল কাশেম (কাশেমের পিতা), আবু বকর (বকরের পিতা), আবু হুরায়রা (বিড়াল স্নেহকারী)।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে উপনাম, উপাধি ও সম্বন্ধসূচক নামের প্রচলন সাধারণত দেখা যায় না।