(মুসলিম বিডি ২৪.কম)
بسم الله الرحمن الرحيم
চিকিৎসা করা আল্লাহ পাকের হুকুম।
যেমন-হাদীশ শরীফের মধ্যে ইরশাদ হচ্ছে-(انه من قدرةالله) চিকিৎসা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত।
-মুসতাদরাকে হাকেম
চিকিৎসা করা রাসুল ( সা.)-এর সুন্নাত অতএব আমরা আল্লাহর হুকুম ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নত আদায়ের জন্য চিকিৎসা করব।
চিকিৎসক দুনিয়ার ইজ্জত সম্মান ও টাকা পয়সা উপার্জনের জন্য চিকিৎসা করবেন না। বরং আশরাফুল মাখলুকাত মানব-জাতির,
খেদমত ও সেবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার নিয়ত রাখব। সুতরাং গরিব-ধনীর চিকিৎসার ব্যাপারে তারতম্য করবেন না।
কেউ বাকি চাইলে বাকি দিবে এবং তাকে পরিশোধের সুযোগ দিবে। অপারগ হলে ক্ষমা করে দিবে।
চিকিৎসকের এ কথায় দৃঢ় বিশ্বাসী হতে হবে যে, রোগ নিরাময়ে আমার কোন শক্তি নেই। সকল শক্তি একমাত্র আল্লাহ তাআলার। আমি রোগ নিরাময়ের অসিলা মাত্র।
এ কথার ও একটি থাকতে হবে যে, আমার ঔষধের কোন ক্ষমতা নেই। ঔষধ কার্যকর হওয়া বা না হওয়া একমাত্র আল্লাহ পাকের হুকুমের নির্ভরশীল।
কোনো রোগই দুরারোগ্য নয়। এ বিশ্বসের সাথে চিকিৎসা করা। কেননা রাসুল (সা.)ইরশাদ করেছেন-আল্লাহ এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি, যার জন্য কোন প্রতিষেধক পাঠাননি।-বুখারী
রোগীকে দেখার সাঙ্গে সঙ্গে নিম্নলিখিত দোয়া বলে সান্ত্বনা দেয়া সুন্নাত-
لابأس طهور انشاءالله
কোনো চিন্তা নেই ইনশাআল্লাহ তুমি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। এজাতীয় বিভিন্ন সান্ত্বনামূলক কথা বলা,যাতে তার মন ভেঙ্গে না যায়।
কোনো রোগীর কঠিন রোগ দেখলে রোগকে গাল-মন্দ করবেন না। কেননা রাসুল (সা.)-ইরশাদ করেছেন-কোনো রোগীকে গালি দিয়ো না।
কারণ এটা আদম সন্তানের গুনাহ সমূহ এমনভাবে দূর করে দেয়, যেমনভাবে আমাদের ভাট্টি লোহা থেকে মরিচা এবং ময়লা পরিষ্কার করে ফেলে। (মুসলিম)
রোগীর রোগ নির্ণয় করতে পারলে তাকে ঔষধ দিবে, অন্যথায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দিবে। খামখেয়ালি করে চিকিৎসা দিবেন না।
কেননা রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন-যদি কোনো অনভিজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসার কারণে রোগীর কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়,
তবে সে রোগীর সমস্ত দায়-দায়িত্ব উক্ত ডাক্তারের উপর বর্তাবে (ও পরন্তু রোগী মারা গেলে সে খুনী বলে বিবেচিত হবে)-আবু দাউদ
কালিজিরা ও মধু দ্বারা চিকিৎসা করা সুন্নাত। হারাম বস্তু দিয়ে তৈরি ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা হারাম। অধিকন্তু হারাম ঔষধের মধ্যে আল্লাহ পাক আরোগ্য রাখেননি।
নাপাক ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করতে রাসুল (সা.) কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। -তিরমিযী
রোগীকে ঔষধ সেবনের সাথে সাথে নামাজ আদায়ান্তে দু'আ ও সামর্থ্য অনুযায়ী সদকা করার পরামর্শ দেয়া সুন্নাত।