(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফের-মোশরেকদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হলো জনমিতি পাল্টে দেয়া।
যেখানে মুসলমানরা প্রভাবশালী সেখানে তাদের দুর্বল করাই হলো এই যুদ্ধের রণনীতি।
এটি ইসরাইলি জায়োনিস্টদের প্রকল্প।যেই অঞ্চলে তারা এই নীতি চালু করে সেখান থেকে মুসলমানরা উৎখাত হয়ে যাওয়ার পর
ফাঁকা জায়গায় অন্য জায়গা থেকে অমুসলিমদের এনে বসতি স্থাপন করা হয়।
ক্রুসেডার ব্রিটিশদের সহায়তায় জায়োনিস্টরা ফিলিস্তিনে এই প্রকল্প করে সফল হয়েছে। সেখান থেকে গণহত্যা ও নিপীড়ন চালিয়ে মুসলমানদের উৎখাত করা হয়েছে।
বিগত ও এ শতাব্দীর সব যুদ্ধ পর্যালোচনা করলে দেখবেন কিভাবে মুসলমানদের জনমিতিকে বদলে দেয়া হচ্ছে। যার প্রতিটিতে রয়েছে ইহুদিবাদি কানেকশন।
এই নীতিতেই রোহিঙ্গাদের তাদের স্ব-ভূমি থেকে বিতারিত করা হয়েছে।
মুসলিম দেশ কাশ্মীরকে ৭২ বছর ধরে দখল করে রেখেছে ভারত। সেখানে পাঁচ লাখেরও বেশি ভারতীয় সেনা মোতায়েন আছে।
তার পরও কাশ্মীরের জনগণকে বশ্যতা মানাতে পারেনি ভারত। এর কারণ হলো জনমিতি। কাশ্মীরের মুসলমানরা সংখ্যাগুরু।
সেখানে ভারতীয় সংখ্যাগুরুরা যে লুটপাট চালাবে সেটাও পারছিলনা কারণ সংবিধান অনুযায়ী কাশ্মীরের বাইরের লোকেরা জমি কিনতে পারে না,
ভোটার হতে পারে না। ফলে ভারত নানা জায়গা থেকে হিন্দুদের জড়ো করে মুসলমানদের জমি দখল করতে পারছিল না।
কিন্তু আপনারা জানেন, গুজরাটের কসাই মোদি ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে জায়োনিস্ট ইসরাইলের গোপন আঁতাত
প্রকাশ্যে চলে আসে।
ভারতীয় রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ ইসরাইল সমর্থিত হিন্দুত্ববাদীদের প্রভাব তৈরি হয়েছে।
এই যে গরুর গোশত খাওয়ায় মুসলমান হত্যা।এর অংশহিসেবে আজ মোদি সরকার দখলীকৃত কাশ্মীর সংক্রান্ত বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করেছে।
এর ফলে কাশ্মীরের জমি-জিরাত লুটে নিতে পারবে হিন্দুত্ববাদীরা। একদিকে চলবে নিপীড়ন, আরেকদিকে লুটপাট।
এভাবে এক সময় কাশ্মীরিরা ফিলিস্তিনি ও রোহিঙ্গাদের মতো জনমিতিকভাবে উধাও হয়ে যাবে।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি কতটা কঠিন হবে তা বুঝতে সবাইকে খেয়াল করতে বলি,
কাশ্মীরে মোতায়েনকৃত ভারতীয় সেনা কমান্ড ইসরাইলে প্রশিক্ষিত, যুদ্ধাস্ত্রগুলোও ইসরাইল থেকে কেনা।
আল্লাহ তায়ালা কাশ্মীর এর মুসলমানদের হেফাযত করুক। আমিন।