(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
মাহে রমজানে সেহরী ইফতারের সময় নির্ধারক যে সকল ক্যালেন্ডার বের হয়ে থাকে সেগুলোতে
সাধারণত: সতর্কতামূলক সেহরীর বেলায় ৫ মিনিট কম এবং ইফতারের বেলায় ৫ মিনিট বেশী ধরে নেয়া হয়।
অর্থাৎ সূর্যাস্তের ৫ মিনিট পর ইফতার আরম্ভ এবং সুবহে সাদিকের ৫ মিনিট আগেই সেহরী খাওয়া শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রায় মসজিদেই ক্যালেন্ডারে দেয়া সময় অনুযায়ী সেহরীর টাইম শেষ হওয়া মাত্রই ফজরের আযান শুরু হয়ে যায়।
অথচ, তখনও সুবহে সাদিক শুরু হয়নি। বরং সুবহে সাদিক শুরু হওয়ার বাকী থাকে আরও ৫ মিনিট। এতে ওয়াক্ত আসার আগেই ফজরের আযান হয়ে যায়।
যেমন ধরা যাক, সুবহে সাদিক শুরু হবে ৪-৫০ মিনিটে, কিন্তু সতর্কতামূলকভাবে ক্যালেন্ডারে দেয়া আছে সেহরীর শেষ সময় ৪-৪৫ মিনিট ।
এদিকে ক্যালেন্ডারের প্রতি লক্ষ করে ফজরের আযান শুরু হয়ে যায় ৪-৪৫ মিনিটেই। অথচ, বাস্তবে তখনও ফজরের ওয়াক্তই আসেনি।
ফলে ঐ আযান ফজরের জন্য যথেষ্ট হবে না। কেননা, নামাজের ওয়াক্ত আসার পরই হলো আযান দেয়ার সময়।
ওয়াক্ত আসার আগে আযান দিয়ে দিলে এমনকি আযানের কিছু অংশও যদি ওয়াক্তের পূর্বে হয়ে যায় তবুও সেই আযান দিয়ে দিলে এমনকি আযানের কিছু অংশও,
যদি ওয়াক্তের পূর্বে হয়ে যায় তবুও সেই আযান পুনরায় দিতে হয়। অন্যথায়, নামায বিনা আযানে হয়েছে বলে গণ্য হবে।
অথচ, আযান হলো সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ তথা গুরুত্বের দিক দিয়ে ওয়াজিবের মতই। কেউ কেউতো আযান দেওয়াকে পরিষ্কার ভাষায় ওয়াজিব বলেছেন।
বিধায়, ওয়াজিব ছেড়ে দিলে যে পরিমাণ গোনাহ হবে, প্রায় সে পরিমাণ গোনাহ হবে বিনা আযানে নামাজ আদায় করলে।
লক্ষণীয় যে, বরকতময় ও কল্যাণময় তথা গুরুত্বপূর্ণ মাস মাহে রমজানে ফজরের নামাজ বিনা আযানে আদায় করার দরুন কি পরিমাণ গোনাহগার হতে হবে।
সবাইকে তা সহজই বোধগম্য।
উপরন্তু অনেক লোক সেহরী খেয়ে অজু করত:
আযানের অপেক্ষা করতে থাকেন। আযান শুরু হওয়া মাত্রই তারা তাড়াতাড়ি করে ফজরের নামাজ পড়ে নেন।
জামাতের সহীত না পড়ে একা একা পড়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
এতে ফজরের নামাজ ওয়াক্ত আসার আগেই আদায় হয়ে যায়। ইহা যে কি পরিমাণ দু:খজনক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
একজন লোক তারাবীহ, তাহাজ্জুদ এবং অন্যান্য ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে সারা রাত কাটিয়ে দিয়ে সে ফজরের নামাজ পড়েও পড়তে পারল না মুয়াজ্জিন সাহেবের ভুলের দরুন।
তার ধারণামতে যেহেতু সে পড়ে নিয়েছে বিধায় ঐ ব্যক্তির ক্বাযা করারও সম্ভাবনা থাকে না।
তাই সুবহে সাদিকের আগে ফজরের আযান শুরু করে দেয়া থেকে বিরত থাকা একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায়, ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে।
(সূত্র:নির্বাচিত ফাতাওয়া-মাসাইল-২৪)