(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
টেপ রেকর্ড দ্বারা আযান কিংবা ইমামতি কোন কিছুই শুদ্ধ হবে না। যার কারণ একেবারে সুস্পষ্ট। কেননা, আযান ও ইমামতি হচ্ছে ইবাদত ।
যা মানুষ তার শরীর ও মন দ্বারা আল্লাহর প্রতি ধ্যানমগ্ন হয়ে স্বেচ্ছায় আদায় করবে। এর সম্পর্ক একমাত্র মানুষের শরীর ও মনের সাথে।
যে কোন মেশিন দিয়ে আঞ্জাম দেয়া কোন ক্রমেই বৈধ নয়। অপরদিকে টেপ রেকর্ডের আওয়াজ মানুষের মুখ নিসৃত আসল আওয়াজ নয়।
বরং তা হচ্ছে পূর্বে উচ্চারিত আসল আওয়াজের নকল বা প্রতিধ্বনিতুল্য মাত্র।
সে জন্যই তো কোন মানুষ যদি তালাক দিতে গিয়ে বলে যে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম।
আর তার ঐ কথাটি টেপে রেকর্ড করত: তিনবার বাজিয়ে দেয়া যায় তাহলে এতে তার স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয় না।
ঠিক তেমনিভাবে কেউ যদি কারও প্রাপ্য হিসেবে নিজের উপর এক হাজার টাকার স্বীকার করে এবং তার কথাটি টেপে রেকর্ড করে বারবার বাজিয়ে দেয়া হয়।
তাহলে এতে এক হাজার টাকারই স্বীকারোক্তি হবে কয়েক হাজারের নয়।
মোটকথা, টেপ রেকর্ডে উচ্চারিত আযান কিংবা ইমামতিকে আযান ও ইমামতি বলা যাবে না।
বরং তা হবে পূর্ববর্তী আওয়াজের নকল এবং মেশিনের সাহায্য পুন:উচ্চারণ মাত্র।
এজন্যেই তো টেপ রেকর্ডে উচ্চারিত তিলাওয়াতকে মূল তিলাওয়াতে কোরআনের মর্যাদা দেয়া হয় না।
ফলে টেপ রেকর্ডে সেজদাহর আয়াত শুনলেও সেজদায়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হয় না।
দাড়ি কর্তিত কিংবা দাড়ি মুণ্ডিত ব্যক্তি তথা ফাসিকের আযান ইকামত
যে ব্যক্তি দাড়ি সম্পূর্ণরূপে মুণ্ডিয়ে ফেলে বা এক মুঠোর পূর্বে খাটো করে, শরীয়তের দৃষ্টিতে সে ফাসিক।
আর ফাসিকের জন্য আযান-ইকামত দেয়া মাকরূহে তাহরীমী। বিধায়, দাড়ি মুন্ডানো, খাটো করা ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে ফাসিক বলে গণ্য হবে।
তার জন্য আযান-ইকামত দেয়া মাকরূহে তাহরীমী। তবে কোন ফাসিক ব্যক্তি ইকামত দিয়ে দিলে তার আর দ্বিতীয় বার দোহরাতে হবে না।
কিন্তু আযান দিয়ে দিলে পূর্ণবার আযান দেয়া কারও মতে ওয়াজিব হলেও বিশুদ্ধ মতানুসারে তা ওয়াজিব নয়; বরং মুস্তাহাব।
(ফাতাওয়ায়ে শামী-১/৩৯২, বাহরুর রা-ইক-১/২৬৩, আহসানুল ফাতাওয়া-২/২৮৭-২৮৮)