(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
তীর নিক্ষেপ, ঘোড়া, উট, গাধা ও খচ্চর দৌড়ের প্রতিযোগিতা করা জায়েজ।
বিজয়ীদের জন্য এক পক্ষ থেকে পুরস্কার নির্ধারণ করাও জায়েজ।
হ্যা, যদি পুরস্কার উভয় পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয় তাহলে তা হারাম হবে। (কেননা এটা জুয়া হয়ে যাবে)।
তবে যদি তৃতীয় ব্যক্তি বলে যে, কেউ দুইজনের উপর অগ্রগামী হলে তাকে এ পরিমাণ পুরস্কার দেয়া হবে এবং যদি দুইজনে আগে চলে যায়,
তাহলে তৃতীয় ব্যক্তির নিকট থেকে কিছুই নেয়া হবে না।
আর ঐ দুইজনের মাঝে যে অগ্রগামী হবে সে অপরজন থেকে পুরস্কার নিয়ে নেবে।
এই নিয়মে প্রতিযোগিতা করাও পুরস্কার নির্ধারণ করা জায়েজ। কিন্তু বিজয়ীদের জন্যে নির্ধারিত পুরস্কার পরিশোধ করা ওয়াজিব নয়;
না দিলে সে তা জোরপূর্বক আদায় করতে পারবে না।
এমনিভাবে কোন সেনাপতির জন্য এরূপ ঘোষণা দেয়া জায়েজ আছে যে, তোমাদের মাঝে,
যে ব্যক্তি সকলের আগে যেতে পারবে তাকে এ পরিমাণ পুরস্কার দেয়া হবে।
তদ্রূপ দুইজন “তালেবে ইলম” যদি কোন মাসআলা নিয়ে,
মতানৈক্য করার পর উস্তাদের নিকট মীমাংসার জন্য যায় এবং যার কথা উস্তাদের কথার সঙ্গে মিলবে তার জন্য কোন কিছু নির্ধারণ করা হয়,
তাহলে পূর্বের মাসআলার ন্যায় এ ক্ষেত্রেও পুরস্কার নির্ধারণ জায়েজ।
ছাত্রদের লেখা পড়ার প্রতি আগ্রহ ও মনোযোগ বাড়ানোর সার্থে লিখিত বা মৌখিক প্রতিযোগীতা আয়োজন করা হয় এবং পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়।
তাহলে তা জায়েজ হবে, শুধু তাই না উস্তাদ যদি প্রতি দিনের ন্যায় আজকের নতুন সবক দেয়ার পর ছাত্রদের কে লক্ষ্য করে বলে যে, আগামি কাল
পড়া ভাল করে একেবারে সন্দেহ ছাড়া নির্ভুল ভাবে শিখে আসতে পারবে যে, তাকে আমার পক্ষ হতে ২০ টাকা পুরস্কার হিসাবে দেয়া হবে।
হিফজুল কোরআন ও ক্বেরাত প্রতিযোগিতা কি জায়েজ?
আল্লাহ তায়ালা পরকালে হাফিজে কোরআনদের কে ৬৬৬৬ তালা দান করবেন ও হাফিজে কোরআনদের মাতা পিতাকে জান্নাতি মুকুট পড়াবেন।
সেটা কিন্তু শুধু হাফিজদের জন্য আল্লাহ তায়ালা পুরস্কার হিসাবে ঘোষণা করছেন, গায়রে হাফিজদের জন্য করেন নাই।
তাই এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য অবশ্যই মুসলমানের ছেলে মেয়েরা হাফিজ হওয়ার জন্য
পাগলপাড়া থাকবে ও হাফিজ হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাবে।
এই ছেলে মেয়েদের চেষ্টা কে আরো উন্নত করতে যদি কোন ইসলামী সংস্থা বা সংগঠন হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে,
এবং পুরস্কার নির্ধারণ করে আর তাদের উদ্দেশ্যে যদি এই থাকে যে, ছাত্রদের ইয়াদ শক্তি,মেহনত, চেষ্টা, আগ্রহ আরো বেশী যেন হয়,
তাহলে তা জায়েজ হবে। অন্যথায় জায়েজ হবে না।
তদ্রূপ কোরআন শরীফকে তাজবিদ সহ সুন্দর ও সাবলীল করে পড়তে পারে ও শিখার চেষ্টা করে প্রত্যেক মুসলিম ছেলে মেয়েরা এর জন্য যদি,
কোন ইসলামী সংস্থা বা সংগঠন ক্বেরাত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ও পুরস্কার নির্ধারণ করে, তাহলে তা জায়েজ হবে।
(মালামুদ্দা মিনহু-১৫১,১৫২)