(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)

যাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে

1. ফকির, যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।
2. মিসকিন, যার কিছুই নেই।
3. মুকাতাব, এমন গোলাম যে কিতাবাতের মাল পরিশোধ করতে অক্ষম।
4. যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ মালের মালিক বটে কিন্তু সে ঋণগ্রস্ত, তার মাল ঋণ অপেক্ষা বেশী হয়।
5. মুজাহিদ, যে ব্যক্তি জিহাদের অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক কিন্তু তার কাছে জিহাদের সরঞ্জাম ঘোরা, যানবাহন, অস্ত্রশস্ত্র বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই।
6. এমন মুসাফির যার বাড়ীতে ধন-সম্পদ আছে কিন্তু সফরে তার কাছে কিছুই নেই।

যদি কেউ ইচ্ছা করে তবে উপরোল্লিখিত ছয় শ্রেণীর লোকের যে কোন এক শ্রেণীকে যাকাতের মাল প্রদান করতে পারে কিংবা উক্ত ছয় প্রকারের সকলকেই দিতে পারে।

যাদেরকে যাকাত দেয়া যাবেনা

1. যাকাত প্রদানকারী যাকাতের মাল তার উসুল ও ফুরু (অর্থাৎ বাপ, দাদা, ছেলে, নাতি,) – কে দিতে পারবে না।
2. স্ত্রী তার স্বামীকে যাকাত দিতে পারবেনা।
3. স্বামীও তার স্ত্রীকে যাকাত দিতে পারবে না।
4. মনিব নিজের গোলাম (চুক্তিবিহীন গোলাম) মুকাতাব (চুক্তিবদ্ধ গোলাম) মুদাব্বার (মনিবের মৃত্যুর পর নযে গোলাম আযাদ হয়ে যায়) ও উম্মে ওয়ালাদ কে যাকাত দিতে পারবে না।
5. যে গোলামের কিছু অংশ আযাদ তাকেও যাকাত দিতে পারবে না।
6. কোন কাফের ব্যক্তিকে যাকাত দিতে পারবে না।
7. হাশেমী বংশের কোন ব্যক্তিকে এবং তাদের গোলামদেরকেও যাকাত দিতে পারবে না। তবে নফল সদকা প্রদান করা যাবে।

মাসআলা: মসজিদ নির্মাণ, মাইয়্যেতের কাফন ও মৃত ব্যক্তির ঋণ পরিশোধ করার জন্যে যাকাতের মাল খরচ করা যাবে না।

ধনি লোকের গোলাম এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানকেও যাকাত দেয়া যাবে না। কেননা যাকাত আদায় সহীহ হওয়ার জন্য যাকাত গ্রহীতাকে মালিক বানিয়ে দেয়া শর্ত।

মসজিদ নির্মাণ ও সেতু বানানোর কাজে প্রদান করলে যেহেতু কাউকে মালিক বানানো হয় না তাই এর দ্বারা যাকাত আদায় হবে না।

আরো পড়ুন 👉যে তিনটি আমল করলে মৃত্যুর পরও নেকী পেতে থাকবেন