(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
তাবীজ শরীয়ত সম্মত বিষয়।গায়রে মুকাল্লিদ তথা সালাফিগন ও আহলেহাদীছ গন বলেন এটি নিষিদ্ধ।এমনকি শিরক মনে করেন।
অথচ শরীয়ত ঢালাও ভাবে তা নিষিদ্ধ করেনি।
আহলেহাদীছ ও সালাফিগন ব্যতীত অন্য সবার নিকট তাবিজ ও ঝার-ফুকের হুকুম একইরকম।
অর্থাৎ যেসব কালাম দারা ঝার-ফুক জায়েয নয় সেগুলো লিখে তাবিজ ব্যবহার করা ও জায়েয নয়।
সালাফিগন পদে পদে যার তাকলীদ করেন সেই ইবনে তাইমিয়া রহ: বলেনঃ অসুস্থ ব্যক্তি ও বিপদগ্রস্ত লোকদের জন্য কালি দারা আল্লাহর কিতাব,যিকির,লিখে দেয়া এবং ধুয়ে পান করানো জায়েয।
(ফতোয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া ১৯খ/৬৪পৃ:)
গায়রে মুকাল্লিদ তথা আহলেহাদীছ গন আল্লামা শাওকানী কে ইমাম হিসেবে মান্য করেন,তিনিও বলেছেন সমস্ত ফকিহগণের মতে এ ধরনের তাবিজ ব্যবহার জায়েয।
(নাইলুল আউতার)
আহসানুল ফাতাওয়া এর ৮ম খন্ডে আছে হরফের মান (ابجد)এর দ্বারা তাবিজ লেখা জায়েয।
তাবিজ জায়েয হওয়ার পক্ষে জুমহুরের দলীল
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন যখন কোন মহিলার প্রসব বেদনায় কষ্ট হবে তখন যেন এ বাক্যগুলো লিখে দেয়
بسم الله لا اله الاالله حليم الكريم سبحان الله رب العرش العظيم الحمد لله رب العلمين”كأنهم يوم يرونها لم يلبثوا الا عشية او ضحاحا ”
كأنهم يوم يرون ما يوعدون لم يلبثوا الا ساعة من نهار بلاغ فهل يهلك الا القوم السقون
এ রেওয়ায়েতটি গায়রে মুকাল্লিদ ও সালাফিদের সর্বজনমান্য ব্যক্তি ইবনে তাইমিয়া রহ তার ফতোয়ায় উল্লেখ করেছেন।
(ফ:ইবনে তাইমিয়া ১৯খ/৬৪পৃ:)
এ সংক্রান্ত আরো বহু হাদিস রয়েছে দেখুনঃ
ইসলামী আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ।