মালে যেমার অর্থাৎ হারানো মাল অথবা গভীর সমুদ্রে নিমজ্জিত মাল অথবা ছিনতাইকৃত মাল,
যার উপর কোন সাক্ষ্য নেই বা যে মাল জঙ্গলে পুতে রাখা হয়েছিল,
কিন্তু স্থান ভুলে গেছে অথবা কাউকে ঋণ দেয়া হয়েছিল,
তবে ঔ ব্যক্তি ঋণ অস্বীকার করছে এবং এ ব্যাপারে কোন সাক্ষ্য নেই,
বাদশাহ বা এ ধরণের কোন (প্রভাবশালী) ব্যক্তি জুলুম করে মাল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে,
যার ব্যাপারে কারো নিকট অভিযোগ করার উপায় নেই।এ জাতীয় মালের উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না,
আর উক্ত মাল হস্তগত হলে বিগত দিনগুলোর যাকাত আদায় করাও ওয়াজিব হবেনা।
ঋণগ্রহীতা যদি ঋণের কথা স্বীকার করে, যদিও সে দরিদ্র হয় অথবা উক্ত ঋণের কথা ঋণগ্রহীতা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেও যদি তার পিছনে,
সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকে বা কাজী বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকেন বা উক্ত মাল ঘরের মধ্যেই কোথাও আচ্ছাদিত আছে,
কিন্তু তার স্থান অজানা থাকে, তাহলে এ ধরণের মাল যখনই পাবে তখনই যাকাত দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিছনের দিনগুলোর যাকাতও আদায় করতে হবে।
মাস'আলা:
ঋণ যদি ব্যবসার বাবদে হয় তাহলে ৪০ দেরহাম হস্তগত হওয়ার পর যাকাত দিতে হবে।
আর যদি ঋণ ব্যবসার মালের বনিময়ে হয়, যেমন- ছিনতাইকৃত মালের ক্ষতিপূরণ,
তাহলে এক্ষেত্রে নেসাব পরিমাণ মাল হস্তগত হওয়ার পর যাকাত দিতে হবে।
আর যদি ঋণ মাল ব্যতীত অন্য কিছুর বিনিময়ে হয়,যেমন -মোহর বা খোল'আর বিনিময়ে প্রাপ্ত মাল ইত্যাদি।
তাহলে নেসাব পরিমাণ মাল হস্তগত হওয়ার পর এক বৎসর অতিবাহিত হলে ইমাম আযম (রহ.) এর মতে যাকাত দিতে হবে।
আর সাহেবাইন এর মতে যে পরিমাণ মাল-ই হাতে আসুক তার উপর তার উপর এক বৎসর অতিবাহিত হোক বা না হোক,
এ মালের যাকাত আদায় করতে হবে।
তবে দিয়ত (রক্তপণ) জরিমানা ও বদলে কিতাবাত বাবদ প্রাপ্ত মাল নেসাব পরিমাণ হাতে আসার পর এক বৎসর অতিবাহিত হলে যাকাত ওয়াজিব হবে।