ইসলামের রোকনসমূহের দ্বিতীয়টি হলো যাকাত।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের পরে আরবেত কতিপয় গোত্র যাকাত প্রদানে অস্কীৃতি প্রকাশ করেছিল।
এতে আবু বকর সিদ্দীক (রাযি.) তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার সংকল্প করেন।
এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরাম একমত যে, যাকাত অস্বীকারকারী কাফের ও যাকাত বর্জনকারী ফাসিক।
কাদের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়?
মুসলমান, স্বাধীন, সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর যাকাত ওয়াজিব। তবে শর্ত হলো, তাকে নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হতে হবে।
উক্ত মাল তার মৌলিক প্রয়োজনদি ও ঋণের বাইরে হতে হবে, উক্ত মাল বর্ধনশীল হতে হবে।
আর এ মালের উপর পুরো এক বৎসর অতিবাহিত হতে হবে।
মৌলিক প্রয়োজন ও করয দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে এবং মাল কয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে?
মৌলিক প্রয়োজনাদি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যে সমস্ত সামগ্রীর প্রতি মানুষ নিত্যদিন মুখাপেক্ষী।
যেমন- নিজ পরিবার – পরিজনের ভাত-কাপড়, থাকার ঘর ও জরুরী আসবাবপত্র, বিছানা, চাটাই, চৌকি ও হাড়ি-পাতিল ইত্যাদি।
উলামায়ে কেরামের জন্য জরুরী কিতাবাদি ও পেশাজীবীদের জন্য জরুরী দ্রব্যাদি সবই মৌলিক প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত।
করয দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?
করয: এর দ্বারা ঐ সমস্ত ঋণকে বুঝানো হয়েছে যার তাগাদা মানুষের পক্ষ থেকে হতে পারে। চাই মানুষের নিজস্ব ঋণ হোক, যেমন -করয, ক্রয়কৃত দ্রব্যের মূল্য ইত্যাদি। চাই আল্লাহর ঋণ হোক, যেমন -যাকাত।
কাজেই যে সমস্ত ঋণের তাগাদা মানুষের পক্ষ থেকে হতে পারেনা, যেমন -নযর, মান্নত, কাফফারা, সদকায়ে ফিতর ইত্যাদি যাকাত ওয়াজিব হওয়ার প্রতিবন্ধক নয়।
মাল বৃদ্ধি দুইভাবে হতে পারে। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য। প্রথমটির উদাহরণ হলো, ব্যবসার মাল ও বাচ্চা দেওয়ার মত গবাদি পশু ইত্যাদি। দ্বিতীয়টির উদাহরণ হলো, স্বর্ণ-রোপ্য, টাকা -পয়সা ইত্যাদি। কেননা এগুলোকে মানুষ যখন ইচ্ছা কাজে লাগিয়ে বৃদ্ধি করতে পারে।
যাকাত সম্পর্কে আরো পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন