যে মুসলমান যুদ্ধরত কাফের সৈন্যদের হাতে কিংবা বিদ্রোহী বা ডাকাতের হাতে নিহত হয়,
যুদ্ধের ময়দানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, আর তার শরীরে যখমের চিহ্ন থাকে কিংবা কোন মুসলমান অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করে থাকে,
সে হত্যার কারণে হত্যাকারীর উপর দিয়ত (আর্থিক জরিমানা) ওয়াজিব না হয়ে থাকে,
সে মৃত ব্যক্তি যদি পাগল, জুনুবী (যার উপর গোসল ফরজ হয়েছে) অথবা হায়েয বা নেফাসওয়ালী মহিলা না হয়,
ঐ মৃত ব্যক্তি যদি মৃর্ত্যুর পূর্বে পানাহার, চিকিৎসা গ্রহণ, ক্রয়-বিক্রয় বা অসিয়ত করার মাধ্যমে কোন ফায়দা হাছিল না করে থাকে,
আহত হওয়ার পর যদি কোন নামাজ তার উপর ফরজ না হয়ে থাকে তাহলে (শরীয়তের পরিভাষায়) সে ব্যক্তি শহীদ।
এমন ব্যক্তিকে গোসল না দিয়ে, শাহাদাতের সময় পরনে যে পোষাক ছিল, তা দ্বারা কাফন দিবে,আর জানাজা পড়ে দাফন করবে।
উপরোক্ত শর্তসমূহ পাওয়া না গেলে ফেকাহর পরিভাষায় সে শহীদ নয়।
অর্থাৎ শাহাদাতের মর্যাদা পেলেও শহীদের দুনিয়াবি বিধান তার জন্য প্রযোজ্য হবে না।
তাকে বিনা গোসলে পরিহিত পোষাকসহ দাফন করবে। তবে তার উপর জানাজার নামাজ পড়তে হবে।
উপরোক্ত শর্তাবলি না পাওয়া গেলেও কেউ যদি অন্যায়ভাবে নিহত হয়, তাহলে সেও শহীদের সওয়াব পাবে,
তবে তাকে গোসল ও কাফন দিতে হবে।
কোন কোন মাইয়্যিত শহীদ নয়?
হদ বা কিসাসের (শরীয়ত নির্ধারিত বিচার অনুযায়ী হত্যার পরিবর্তে হত্যা) কারণে মৃতদণ্ডপ্রাপ্ত হলে সে শহীদ নয়।
তাকে গোসল দিবে এবং জানাজা পড়বে আর যদি ডাকাত অথবা রাষ্ট্রদ্রোহী নিহত হয়, তাহলে তাকে গোসল দিবে। কিন্তু জানাজা পড়বে না।