সহীহ বুখারী শরীফে হযরত সালমান ফারসী (রাযি.) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে,
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, প্রত্যেক সন্তানের জন্মোর পর আকীকা করা সুন্নত।
অতএব তোমরা তাদের (নবজাতক শিশুর) পক্ষ হতে রক্ত প্রবাহিত কর,
(অর্থাৎ পশু জবাই করো) এবং তাদের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর কর (অর্থাৎ মাথার চুল মুণ্ডন কর)।
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযি.) থেকে বর্ণিত আছে যে,
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওত প্রাপ্তির পর নিজের আকীকা নিজেই আদায় করছিলেন।
তাছাড়া আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ী শরীফে হযরত সামুরাহ ইবনে জুনদুর (রাযি.) থেকে বর্ণিত প্রতিটি বাচ্চাকে তার আকীকার পরিবর্তে রেহেন রাখা হয়।
জন্মোর পর সপ্তম দিনে ঐ সন্তানের জন্য উক্ত আকীকাটি আদায় করা হয়।।
ইমাম আহমদ (রহ.) বলেন, রেহেন রাখার,অর্থ হলো, সন্তানের আকীকা না করা হলে কিয়ামতের দিন সে পিতা-মাতার জন্য সুপারিশ করবেনা!
যেমনটি বন্ধক রাখা জিনিস তার মালিককে উপকৃত করতে পারেনা।