মাস'আলা:
যে ব্যক্তি তিন মঞ্জিল সফরের উদ্দেশ্যে নিজের ঘর থেকে বের হয়ে শহরের সীমানা পার হয়ে যায়।
সে চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজের দু'রাকাত আদায় করবে।
এক মঞ্জিল হল ষোল ক্রোশ। আর প্রতি ক্রোশ চার হাজার কদম (এ হিসাব অনুসারে তিন মঞ্জিলের দূরত্ব হয় ৪৮ ঘণ্টা মাইল)।
যদি এমন ব্যক্তি দু'রাকাতের স্থলে চার রাকাত আদায় করে এবং দ্বিতীয় রাকাতে বৈঠক করে, তাহলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে,
তবে দু'রাকাত ফরজ এবং দু'রাকাত নফল হবে এবং ফরজকে নফলের সঙ্গে মিলানোর কারণে গুনাহগার হবে।
কিন্তু যদি ভুলক্রমে এরুপ হয়ে যায় তাহলে ফরজের সালাম ফিরাতে বিলম্ব হওয়ার কারণে সেজদায়ে সাহু করতে হবে।
আর যদি দু'রাকাতের পর না বসে তাহলে সে নামাজের ফরজিয়্যাত বাতিল হয়ে যাবে এবং চার রাকাতই নফল হয়ে যাবে এবং সেজদায়ে সাহু করবে।
মাস'আলা
মুসাফির যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের ওয়াতনে আসলিতে (প্রকৃত বাসস্থানে) প্রবেশ না করবে কিংবা কোনো শহর বা গ্রামে পনের বা ততোধিক দিনের ইকামতের নিয়ত না করবে,
ততক্ষণ পর্যন্ত সফরের হুকুম বহাল থাকবে।মাঠে অর্থাৎ জনমানব শূন্য ময়দানে ইকামতের নিয়ত করা গ্রহণযোগ্য নয়।
আর যারা সর্বদা ময়দানেই অবস্থান করে এবং অন্যত্র কোথাও গেলেও অল্প দিনের বেশী থাকে না,
তারা সর্বদা মুকীমের মতই নামাজ পড়বে। তবে যখন এক সঙ্গে ৪৮ মাইল সফরের ইচ্ছা করবে তখন তারা সফরের নামাজ আদায় করবে।
যদি মুসাফির ওয়াক্তিয়া নামাজের মুকিমের পেছনে একতেদা করে, তাহলে সে (চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ) চার রাকাতই আদায় করবে।
ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার পর অর্থাৎ কাযা নামাজ মুকীমের পেছনে মুসাফিরের ইকতেদা সহীহ নয়।
তবে মুকীমের জন্য ওয়াক্তিয়া ও কাযা উভয় নামাজেই মুসাফিরের ইকতেদা করা সহীহ আছে।
মুসাফির ইমাম দু'রাকাত আদায় করে সালাম ফিরাবে এবং মুকীম মুক্তাদী উঠে আরো দু'রাকাত মিলিয়ে চার রাকাত পূর্ণ করবে।
মাস'আলা
ওয়াতনে আসলী (প্রকৃত বাসস্থান) ওয়াতনে আসলী দ্বারা মুসাফিরের হুকুম বাতিল হয়ে যায়।
সফর এবং ওয়াতনে ইকামতের দ্বারা বাতিল হয় না। তবে ওয়াতনে ইকামত অন্য ওয়াতনে ইকামত ওয়াতনে আসলী এবং সফর দ্বারা বাতিল হয়ে যায়।
মাস'আলা
মুকিম অবস্থায় কাযা হওয়া (৪ রাকাত বিশিষ্ট) নামাজকে মুসাফির অবস্থায় চার রাকাতই আদায় করবে।
আর সফর অবস্থায় কাযা হওয়া (৪ রাকাত বিশিষ্ট) নামাজকে মুকীম হওয়ার পর দু'রাকাত আদায় করবে।
মাস'আলা
কোন গোনাহগার অন্যায় কাজ করার উদ্দেশ্যে সফর করলে ইমাম মালেক রহ., ইমাম শাফেই ও ইমাম আহমদ রহ. এর মতে কসর জায়েজ নেই।
ইমাম আবু হানীফা রহ. এর মতে (এ জাতীয় মুসাফিরের জন্য) রোজা না রাখা জায়েজ আছে এবং নামাজে কসর করা ওয়াজিব।
মালাবুদ্দা মিনহু