ইমাম আজম (রহ.) এর মতে নামাজের ওয়াজিব ১৪ টি :
১. সুরা ফাতিহা পাঠ করা।
২. ফরয বিতর ও নফল নামাজের সব রাকাতে একটি সূরা অথবা একটি বড় আয়াত কিংবা তিনটি ছোট আয়াত মিলিয়ে পড়া।
৩. ক্বেরাতের জন্য প্রথম দু’রাকাতকে নিদিষ্ট করা।
৪. সিজদার মধ্যে তারতীব বজায় রাখা।
৫.প্রতিটি রোকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা।
৬. কওমা-তথা রুকুর পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৭. উভয় সেজদার মাঝে বসা। ফতুয়ায়ে কাজীখানে বলা হয়েছে যে, যদি নামাজি ব্যক্তি রুকু থেকে সরাসরি সেজদায় চলে যায় এবং মাঝে সোজা হয়ে না দাঁড়ায়, তাহলে তার নামাজ ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম মুহাম্মদ রাজি. এর মতে সহীহ হয়ে যাবে এবং সাহু সেজদা ওয়াজিব হবে।
৮. প্রথম বৈঠক (দুই রাকাতের পরে বসা।
৯. প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পাঠ করা।
১০. রোকনগুলো ধারাবাহিক ভাবে আদায় করা সুতরাং কেউ যদি(এক রাকাতে) দুই রুকু কিংবা তিন সেজদা করে অথবা প্রথম আত্তাহিয়াতু পড়া।
১১. ইমামের জন্য ফজর,মাগরিব,ঈশা,জুম’আ এবং উভয় ঈদের নামাজে উচ্চস্বরে এবং জোহর আছর ও দিনের নফল নামাজে অনুচ্চস্বরে ক্বেরাত পড়া।
১২. সালাম শব্দ দ্বারা নামাজ থেকে বের হওয়া।
১৩. বেতর নামাযে দুয়ায়ে কুনুত পাঠ করা।
১৪. উভয় ঈদে অতিরিক্ত তাকবিরসমূহ বলা।
ইমাম আজম (রহ.) এর মতে ফরজ ও ওয়াজিবের মাঝে পার্থক্য আছে।
ফরজ বাদ দিলে নামাজ বাতিল হয়ে যায়, পক্ষান্তরে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়। সাহু সেজদা করে নিলে নামাজ সহীহ হয়ে যায়। আর যদি সাহু সেজদা না করে অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়, তাহলে নামাজ পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব হবে। অন্যান্য ইমামগণ ফরজ ও ওয়াজিবের মাঝে কোন পার্থক্য করেন না। কিন্তু তারা কোন কোন ওয়াজিব ও কোন কোন সুন্নত পরিত্যাগ করার কারণে সাহু সেজদা আবশ্যক মনে করেন।