হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকুব সাহেব (রাহঃ) এর সংক্ষিপ্ত আলোচনা পূর্বে হয়েছে যে, তিনি কোন পর্যায়ের বুযুর্গ ছিলিন ।
নিম্নে বর্ণিত ঘটনার দ্বারা একটু আন্দাজ করুন ।
একদা এক খুনী আসামী সাহারানপুর এসে হযরত মাওলানা ইয়াকুব সাহেব (রাহঃ) এর নিকট দরখাস্ত পেশ করলেন যে, হযরত !
অমুক তারিখে আমার ফাঁসির হুকুম হয়েছে দুয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে মুক্তি দান করেন ।
মাওলানা ইয়াকুব সাহেব বললেন যে, অমুক গলির মধ্যে এক ব্যক্তি চট পরে অবস্থান করছে , তার নিকট আমার সালাম বলে তোমার ঘটনা বর্ণানা করে দোয়ার দরখাস্ত করবে।
সুতরাং তিনি ঐ স্থানে গেলেন এবং ইয়াকুব (রাহঃ) এর সালাম পৌঁছিয়ে নিজের ঘটনা বর্ণ্না করে দোয়ার দরখাস্ত করলেন।
ঐ ব্যক্তি ঘটনা শ্রবণ করার সাথে সাথে অত্যন্ত আফসোস ও পরিতাপের সাথে বললেন যে, ওহে ভাই আপনার আসতে বিলম্ব হয়ে গেছে ।
সবে মাত্র আপনার ফাঁসির হুকুম নামায় দস্তখত করে দিয়েছি । এখন কি করা যেতে পারে ? এ কথা শুনে খুনি ব্যক্তি পুনরায় ইয়াকুব সাহেবের (রাহঃ) এর কাছে এসে সমস্ত কথা ব্যক্ত করলেন ।
ইয়াকুব সাহেব (রাহঃ) নিজেই ওখানে তাশরিফ নিলেন এবং চট পরিধানকারীকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, এই খুনি ব্যক্তি সম্পর্কে কি সিন্ধান্ত করেছেন ।
উত্তরে বললেন যে, হযরত ! সবে মাত্র তার নাম খাতার মধ্যে দস্তখত করেছি । ইয়াকুব সাহেব (রাহঃ) বলেন যে, এই হুকুমকে বরখাস্ত করে দাও ।
চট পরিধানকারী বলেন , স্বহস্তের দস্তখত কিভাবে বরখাস্ত করা যায় । এটাতো আপনার কাজ আপনি ইচ্ছা করলে পারেন ।
ইয়াকুব (রাহঃ) বলেন যে, এটা আমার হুকুম যে, আপনার দস্তখতকে বরখাস্ত করে দিন ।
চট পরিধানকারী খুব বিনয় ও নম্রতার সাথে বললেন যে,হ্যাঁঃ এখন আমি তা বরখাস্ত করতে পারব ।
তার ফল এই দাড়ালো যে, সময়মত খুনী আসামী আদালতে উপস্থিত হলেন এবং হাকিম সাহেব তার ফায়ছালানামার মধ্যে ফাঁসির হুকুম লিখার ইচ্ছা করেন কিন্তু ফাঁসির স্থানে খালাসী বা মুক্তি লিখে ফেলেন ।
মোট কথাঃ হল এই যে, ফাঁসির আসামী মুক্তি পেয়ে গেলেন
এবার একটু গভীর ভাবে চিন্তা করুন , যদি হযরত মাওলানা ইয়াকুব সাহেব (রাহঃ) এর শান-মর্যাদা এই হয়, তাহলে হযরত মুহাম্মদ কাসিম সাহেব (রাহঃ) কোন পর্যায়ের শান-মান ও মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন ।
মাওলানা ইয়াকব সাহেবের পূর্বের ঘটনা দ্বারা একটু আন্দায করুন যে,
মাওলানা কাসিম নানুতভী (রাহঃ) রুরকি থেকে আমার দিকে তাওাজ্জুহ করেছেন এবং আমার মধ্যে ইলমের দরিয়া প্রবাহিত করে দিয়েছেন ।
যদি আমি কিনারায় না যেতাম তাহলে মনে হয় আমি ধ্বংস হয়ে যেতাম।