ভূমিকা:
সংসার শুধু একটি ছাদের নিচে একসঙ্গে থাকার নাম নয়; এটি হলো ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, ধৈর্য ও বোঝাপড়ার এক অনন্য মেলবন্ধন।
আর এই সম্পর্কগুলোকে টিকিয়ে রাখতে, বিশেষ করে শাশুড়ি, বউমা এবং স্বামীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীলতা ও সহানুভূতির মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে এক শান্তিময়, আনন্দঘন পরিবার।
১. শাশুড়ির ভূমিকা
একজন শাশুড়ি মায়ের মতো। যদি তিনি পুত্রবধূকে নিজের মেয়ের মতো গ্রহণ করেন, তাহলে সম্পর্কটাই হয়ে ওঠে ভালোবাসার।
সহানুভূতি ও প্রশ্রয়: নতুন বউ অনেক কিছুই শিখে, ভুল করে—একজন শাশুড়ির দায়িত্ব সেগুলোকে সহানুভূতির চোখে দেখা।
অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি: সংসার পরিচালনার অভিজ্ঞতা বউয়ের সঙ্গে ভাগ করলে তা শিক্ষার পথ খুলে দেয়।
সম্মান দিয়ে সম্মান অর্জন: যখন শাশুড়ি নিজে সম্মান দেন, তখন সম্মান ফিরে পেতে দেরি হয় না।
২. বউমার ভূমিকা:
একজন বউ নতুন পরিবেশে আসে, কিন্তু যদি সে নিজের কর্তব্য, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মাধ্যমে নিজেকে আপন করে তোলে, তবে সব হৃদয় জয় করা সম্ভব।
শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা: শাশুড়িকে মা হিসেবে দেখলে সম্পর্ক সহজ হয়।
সহনশীলতা ও ধৈর্য: পুরনো বাড়ির নিয়ম, অভ্যাস—সবকিছুর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
– দায়িত্ববোধ: নিজের স্বামী, সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির প্রতি দায়িত্বশীল হলে সে পরিবারে অমূল্য হয়ে ওঠে।
৩. স্বামীর/ছেলের ভূমিকা:
পুরো সম্পর্কের ভারসাম্য অনেকাংশেই নির্ভর করে স্বামীর আচরণ ও মধ্যস্থতামূলক ভূমিকায়।
উপযুক্ত ভারসাম্য রক্ষা: মা ও স্ত্রীর মাঝে পক্ষপাত না করে ন্যায়ের পথে থাকা।
ভালোবাসা ও সুরক্ষা: স্ত্রী ও মা উভয়কেই ভালোবাসা ও সম্মান দিয়ে সুরক্ষা দেওয়া।
সমঝোতার সেতুবন্ধন: দ্বন্দ্ব হলে সেই সেতুবন্ধন হয়ে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা।
উপসংহার:
সুখী সংসার গড়তে হলে শাশুড়ি, বউমা ও স্বামী—এই তিনজনকেই দায়িত্ববান, সহানুভূতিশীল ও হৃদয়বান হতে হবে।
একজন যেন আরেকজনের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে হন পরিপূরক।
এই সম্পর্ক যখন ঈমান, ধৈর্য ও ভালোবাসায় গড়ে উঠে—তখন তা হয় জান্নাতসম শান্তির এক টুকরো।
লিখেছেনঃ হাঃ মাওঃ আব্দুল্লাহ্ আফজাল