ভূমিকা:
যখন কোনো জাতির নেতৃত্ব পায় একদল আল্লাহভীরু, সৎ, দ্বীনদার আলেম—তখন রাষ্ট্র শুধু উন্নয়ন নয়, বরং নৈতিকতা,
নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদায় এক নতুন দিগন্তে পৌঁছায়। এ কথা আজ অনেকেই বলছেন,
কিন্তু বাস্তব উদাহরণ প্রয়োজন। আফগানিস্তান তার এক শক্তিশালী উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলেমদের হাতে নেতৃত্ব: আশঙ্কা নয়, আশীর্বাদ
অনেকের মনে একসময় ধারণা ছিল, আলেমরা শুধু মসজিদ-মাদরাসা কিংবা ধর্মীয় ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ।
কিন্তু আফগানিস্তান প্রমাণ করেছে—সুশিক্ষিত, নীতিবান ও আল্লাহভীরু নেতৃত্ব দেশের প্রতিটি স্তরে কেমন ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
আফগানিস্তান: তালেবান সরকারের পর পরিসংখ্যানভিত্তিক কিছু অর্জন
১. ব্যাপক নিরাপত্তা:
তালেবান সরকারের অধীনে আফগানিস্তানে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস ও দুষ্কৃতিকারীদের দমন কার্যকরভাবে করা হয়েছে।
রাস্তাঘাটে চুরি-ডাকাতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এমনকি অনেক শহরে সাধারণ মানুষ আজ রাতেও নিরাপদে চলাচল করতে পারছে।
২. নারী নিরাপত্তা ও সামাজিক শালীনতা:
যদিও পশ্চিমা গণমাধ্যম একপাক্ষিক সমালোচনায় ব্যস্ত, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে—নারীদের ওপর সহিংসতা, ধর্ষণ ও উত্ত্যক্ত করার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
নারীদের চলাফেরায় ইসলামি শালীনতা আরোপ করে সম্মানজনক পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩. মাদক নির্মূল:
আগে আফগানিস্তান ছিল বিশ্বের শীর্ষ আফিম উৎপাদনকারী দেশ।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফিম চাষ নিষিদ্ধ করা হয় এবং কঠোর নজরদারির মাধ্যমে তা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
৪. দুর্নীতি কমে এসেছে:
সাধারণ সরকারি কার্যক্রমে ঘুষ, দালালি, কমিশনভিত্তিক কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
৫. শিক্ষা ও ধর্মীয় চেতনা:
দেশজুড়ে মাদরাসা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার বাড়ছে। একইসাথে বিজ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
যেখানে আলেমরা নেতৃত্বে থাকেন, সেখানে—
- চুরি হয় কম,
- নারী নিরাপদ,
- অর্থনীতি থাকে স্বচ্ছ,
- প্রশাসন থাকে জবাবদিহিমূলক।
উপসংহার:
আল্লাহভীরু আলেমরা যদি দেশের নেতৃত্বে আসেন, তবে নেতৃত্ব হবে আমানত, শোষণ নয়।
আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—নিষ্ঠাবান ইসলামিক নেতৃত্ব কোনো গুজব নয়, বাস্তব এক সমাধান।
এখন সময়, মুসলিম দেশগুলো আলেমদের দিকনির্দেশনায় একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যায়।
✍️হাঃ মাওঃ আব্দুল্লাহ্ আফজাল গুফিরালাহু