কুরবানি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এর সঙ্গে জড়িত কিছু মাসয়ালা জানা জরুরি—
১. শরীকানা কুরবানি: গরু বা উটের কুরবানিতে সর্বোচ্চ ৭ জন শরীক হতে পারেন। প্রত্যেকের নিয়ত কুরবানি হওয়া আবশ্যক। কেউ যদি কুরবানির জায়গায় শুধু মাংস নেওয়ার নিয়ত করে, তবে পুরো কুরবানি বাতিল হবে।
২. গোশত বণ্টন: কুরবানির গোশত তিনভাগে ভাগ করা মুস্তাহাব— একভাগ গরীব-মিসকিনদের, একভাগ আত্মীয়-স্বজনদের, এবং একভাগ নিজের জন্য রাখা যায়। সম্পূর্ণ মাংস নিজে খাওয়াও জায়েজ, তবে গরীবদের দেওয়া অধিক ফজিলতপূর্ণ।
৩. চামড়ার হুকুম: কুরবানির চামড়া বিক্রি করে এর অর্থ নিজের কাজে ব্যবহার করা জায়েজ নয়। সেটা দান করতে হবে মাদরাসা, মসজিদ বা ফকির-মিসকিনদের। কোনো মজুরকে চামড়া দেওয়া যাবে না (যেমন কসাই)। তাকে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক দিতে হবে।
৪. কুরবানির সময়: কুরবানি ঈদুল আযহার দিন থেকে শুরু হয়ে ১২ জিলহজ্জ সূর্যাস্ত পর্যন্ত করা যায়। শহরে ঈদের নামাজের আগে কুরবানি করা জায়েজ নয়।
৫. অক্ষম ব্যক্তি: যার উপর কুরবানি ওয়াজিব না, সেও ইচ্ছা করলে কুরবানি করতে পারে— এতে সে সাওয়াব পাবে।
আরো পড়ুন 👉 কোরবানী সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলসহ মাসাইল
৬. পশু নির্বাচনে সতর্কতা: কানা, পঙ্গু, খুব দুর্বল, অথবা যার শরীরে তৃতীয় অংশের বেশি কাটা আছে— এমন পশু কুরবানির উপযুক্ত নয়।
আল্লাহ আমাদের কুরবানি কবুল করুন এবং এর মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের তাওফিক দিন।
– আমিন