কোনো কাজ শেখার আগে মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে এই জিনিসটা আমি কেন শিখবো? এটা শিখলে আমার কী লাভ হবে?
তাহলে চলুন জেনে নিই সেলাইয়ের কাজ শিখলে আপনার কী কী উপকার হতে পারে।
১। গাইরত-বোধ:
একজন দ্বীনদার পর্দানশীন বোন হিসেবে আপনি কখনোই চাইবেন না আপনার শরীরের পরিমাপ বাইরের কেউ জানুক।
মহিলা দর্জি সবসময় সবজায়গায় পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে আমাদের পুরুষ দর্জির কাছে কাপড় বানাতে দিতে হয়।
কিন্তু আপনি নিজেই যদি সেলাইয়ের কাজ পারেন তাহলে নিজের ও পরিবারের নারী সদস্যদের জন্য পোশাক তৈরিতে বাইরের পুরুষের প্রয়োজন পড়বে না ইনশাআল্লাহ।
২। স্বনির্ভরতা:
আপনি যদি সেলাই কাজ জানেন তাহলে ছোট খাটো ড্রেস বানানোর জন্য বাইরের দর্জির দোকানে যেতে হবেনা। আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের পোশাক ঘরে বসেই তৈরী করতে পারবেন।
৩। সময় বাচানো:
বাইরের দোকানে গিয়ে পোশাক বানাতে দিলে স্বাভাবিক ভাবেই ৩/৪ দিন বা ১ সপ্তাহের মতো সময় লেগে যায়।
অনেক সময় জরুরী অবস্থায় সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে আমরা দোকান থেকে ইচ্ছেমত পোশাক বানাতে ও পারিনা।
এই সমস্যাটার সমাধান আপনি নিজেই করতে পারবেন যদি আপনি নিজেই সেলাইয়ের কাজ শিখে নিতে পারেন।
৪। টাকার অপচয় রোধ:
বস্ত্র বা পোশাক পড়া আমাদের মৌলিক অধিকারের একটি। আর তাই পোশাকের গুরুত্বও অপরিসীম।
কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছেন এই পোশাক বানানোর জন্য প্রতি মাসে, প্রতি বছরে আপনি কত টাকা দর্জি কে দিচ্ছেন?
পুরো একটি মাসের বা বছরের হিসেব করে দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন।
আরো পড়ুন 👉 অর্থ সম্পদ দ্বারা শান্তি কেনা যায় না
৫। অর্থ উপার্জন:
বর্তমান সময়ে পোশাক শিল্প বাংলাদেশের বড় একটি অর্থনৈতিক খাত।
আপনি যদি সেলাই/দর্জি কাজ পারেন তাহলে পাড়া প্রতিবেশির পোশাক বানিয়ে,
নিজে একটি ছোটখাটো দোকান খুলে উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার পরিবার কে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে পারবেন।
৬। বেকার সমস্যার সমাধান:
বর্তমান সময়ে অনেক ছেলে মেয়ে পড়ালেখা করেও তাদের পরিবারের জন্যই কিছু করতে পারছে না।
আপনি যদি সেলাইয়ের কাজ শিখেন তাহলে অন্তত সাময়িকভাবে হলেও নিজের ও আরো কয়েকজনের বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
৭। আত্মতৃপ্তি:
নিজের কাজ নিজে করার মাঝে আমরা একটা আনন্দ খুঁজে পাই।
আর তাই আপনার নিজের পোশাক তথা আপানার পুরো পরিবারের পোশাক যদি আপনিই তৈরী করে নিতে পারেন তার চেয়ে আত্মতৃপ্তির আর কি হতে পারে?
তাহলে এবার বলুন, সেলাই শিখতে চান?
লিখা: হাবিবুন নাহার মিমি