(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
বউকে কড়া শাসনে না রাখলে মাথায় চড়ে বসবে
ছেলের বউ ঘরে পা দেয়ার সাথে সাথে কিছু কিছু শাশুড়ি-মায়ের মাথার মধ্যে একধরনের অদ্ভুত চিন্তা খেলে যায়।
আর তা হলো, যেকোনো উপায়েই হোক বউ-মাকে হাতের মধ্যে রাখতে হবে।
তাদের মনে একধরনের আশঙ্কা হয়- এখন যদি বউ-মাকে হাতের মধ্যে না রাখতে পারি, তাহলে বউ-মা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার দুঃসাহস দেখাবে!
তাকে হাতের মধ্যে নেয়ার এটাই মোক্ষম সময়। বউ হাতে থাকা মানে ছেলেও হাতে থাকা।
আর বউকে করতলগত করার সহজ উপায় হলো তাকে কড়া শাসনের মধ্যে রাখা।
হয়তো এই শাশুড়ির যিনি শাশুড়ি ছিলেন তিনিও তাকে এই উপায়েই হাতের মধ্যে রাখার চেষ্টা করেছিলেন!
সুযোগ দিলে মাথায় চড়ে বসবে এই ধারণার বশবর্তী হয়ে শাশুড়ি তার পুত্রবধূকে কড়া শাসনের মধ্যে রাখতে চান।
কিন্তু ব্যাপারটা সব সময় এভাবে কাজ করে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো দমিয়ে রাখা যায়,
কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিণতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
নতুন সংসারে সে একেবারে আনাড়ি, আস্তে আস্তে তার শক্তি বাড়তে থাকবে,
সন্তান-সন্ততি হওয়ার মাধ্যমে জনবল বাড়বে, তখন সুযোগ পেলেই তার এই চাপা ক্ষোভ বিদ্রোহে পরিণত হতে পারে।
বিয়ের পর বউ-মা যখন শ্বশুরবাড়িতে আসে, তখন সে তার মূল্যবোধ,
বিশ্বাস, আচার-আচরণ সবকিছু সঙ্গে নিয়ে আসে। শাশুড়ি যদি বউ-মাকে বোঝাতে পারে যে, শাশুড়ির আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা,
আচরণ অনেক বেশি কুরআন- সুন্নাহর কাছাকাছি এবং বউ-মার জন্য উপকারী,
তাহলে বউ-মা ধীরে ধীরে এই বিষয়গুলোর সাথে আপনা-আপনি খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।
শাশুড়ির ভালো ব্যবহার, আন্তরিক আচরণ থেকে যে বউ-মা শাশুড়ির প্রতি আনুগত্য করা শেখে না,
তাকে কড়া শাসনের মধ্যে রেখেও আনুগত্য শেখানো যায় না।
ড্যামকেয়ার টাইপের বউ-মা আছে, তাদের ছেড়ে দেয়াই ভালো; তারা একসময় ঠেকে শিখবে।
কিন্তু ড্যামকেয়ার বউ-মা এবং যারা অনুগত বউ-মা তাদের উভয়কে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেই শাশুড়ি যদি কড়া শাসনের উপায়গুলো বেছে নেন,
তবে এটা শাশুড়ির একটা ভুল। কাউকে ইশারায় শেখানো যায় আবার কাউকে মেরে বকেও শেখানো যায় না। সব ধরনের মানুষকে শেখানোর পদ্ধতি এক না; বরং ভিন্ন ভিন্ন।
বই : অন্দরমহল লেখক : উম্মে মুসআব প্রকাশক উমেদ প্রকাশ।