ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী কৃত্রিম চুল ব্যবহার করা সাধারণত হারাম।
এটি নবী মুহাম্মদ ﷺ-এর হাদিসের আলোকে নিষিদ্ধ।
হাদিস: রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যে নারী কৃত্রিম চুল ব্যবহার করে, অথবা যে ব্যক্তি অন্য কারো চুল ব্যবহার করে, আল্লাহ তার প্রতি অভিসম্পাত করেছেন।”(সহীহ মুসলিম)
এছাড়া, আল্লাহ তাআলা কুরআনে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য শোভাবর্ধনের জন্য
প্রকৃত (স্বাভাবিক) সৌন্দর্য এবং সাজসজ্জার ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
কৃত্রিম চুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রকৃত চুলের সাথে প্রতারণা
এবং নিজেকে অন্যরকমভাবে উপস্থাপন করার প্রবণতা থাকতে পারে, যা শরীয়তের বিধানের পরিপন্থী।
আল-ফিকহুল-ইসলামী এর দৃষ্টিকোণ:
কৃত্রিম চুল ব্যবহারের বিষয়ে অনেক আলেম ও ফকিহদের মতামত হলো এটি মাহরাম (নিষিদ্ধ)।
এটি একটি ধরনের “অবৈধ পরিবর্তন” এবং স্বাভাবিকভাবে আল্লাহর সৃষ্টিতে
মিথ্যা বা ভ্রান্তি সৃষ্টি করা হতে পারে। তাই, ইসলামে এই ধরনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পদ্ধতিগুলি সাধারণত অগ্রাহ্য করা হয়।
উপসংহার:
ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী, কৃত্রিম চুল ব্যবহার করা হারাম, এবং মুসলমানদের উচিত এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা।
তবে, কিছু বিশেষ অবস্থায়, যেমন চিকিৎসার কারণে চুল পড়লে
কৃত্রিম চুল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হতে পারে, তবে এর জন্য একজন অভিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ নেওয়া উচিত।