(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
প্রশ্ন: এক ব্যক্তি দিনের বেলায় মাগরিব ও ইশা’র সালাত আদায় করল; প্রথমে মাগরিব আদায় করল, নির্দিষ্ট সময়
পর ইশা আদায় করল এবং শরীয়তের দৃষ্টিতে তা বৈধও হল! কীভাবে?
উত্তর: পৃথিবীর কিছু কিছু দেশে, নির্দিষ্ট কিছু শহরে, উদাহরণস্বরূপ উত্তর সুইডেন, উত্তর নরওয়ে, সাইবেরিয়ার
কিছু অঞ্চল, উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু- এসব অঞ্চলে কখনও কখনও লাগাতার তিন মাস দিন থাকে। এ তিন
মাসে কখনও সূর্য ডুবে না।
তাই সে সকল দেশ ও অঞ্চলের অধিবাসীরা এ সময় সাধারণ হিসাব মতে রাতের সময় হলে তাদের ঘরে পর্দা
টানিয়ে ও বিভিন্নভাবে পর্যাপ্ত অন্ধকারের ব্যবস্থা করে। যাতে ঘরের ভিতর সূর্যের আলো প্রবেশ করতে না পারে।
তাদের দেশে যখন রাত আটটা বাজে, [অথচ প্রকৃতপক্ষে তা দিন] তখন তারা ইশা’র সালাত আদায় করে। অতঃপর
বাতি নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে কৃত্রিম রাত সৃষ্টি করে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। এটাই তাদের জন্য রাত। অথচ
প্রকৃতপক্ষে তা দিন। কেননা, সূর্য তখনও তাদের মাথার উপর প্রচণ্ড উত্তাপ ছড়িয়ে যাচ্ছে। এভাবে টানা তিন মাস
চলতে থাকে। এ তিন মাসে সূর্য কখনও অস্ত যায় না।
অতঃপর তিন মাস পর যখন সূর্য ডুবে, তখন পুরো তিন মাসের জন্য ডুবে। তখন তাদের পাঁচ ওয়াক্ত সালাতই
রাতে আদায় করতে হয়। সেটা তারা কীভাবে করে? তাদের পার্শ্ববর্তী দেশ- যেখানে সাধারণ নিয়মানুযী দিন-
রাত হয়, তাদের হিসাবে নিজেদের দিন-রাত হিসাব করে এবং সে অনুযায়ীই তারা দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত
আদায় করে।
আর এটাই শরিয়তের নিয়ম। সুতরাং যারা এভাবে সালাত
আদায় করে তাদের সালাত বৈধ হয়।
এমনকি কোনো জায়গা যদি এরকম থাকে যেখানে ছয়
মাস রাত এবং ছয় মাস দিন থাকে সেখানেও তারা এই নিয়মেই সালাত আদায় করবে।