মুসলিমবিডি২৪ডটকম
গায়রত কী?
সাহাবীরা তাদের স্ত্রী’র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত। একজন গায়রতহীন পুরুষ বড়ই ভয়ংকর।
এখনকার সময়ের পুরুষদের গায়রত থাকবে তো দূরের কথা, তারা নির্লজ্জতার সীমা ছড়িয়ে তাদের স্ত্রীর ছবি ফেসবুকে আপলোড দেয়!!
আল্লাহুম্মাগফিরলী..!
ঘটনা ১
একদিন এক ব্যাক্তি আলি ইবনু আবি তালিব (রা) কে জিজ্ঞাসা করলেন তার স্ত্রী কেমন আছে? তিনি উত্তর দিলেন:
[ ইবনে কাসীর,আল- বিদায়া ওয়ান- নিহায়া]” যদি তোমার রক্ত হালাল হতো,তাহলে আমি তরবারি দিয়ে তোমার মাথা কেটে ফেলতাম।”
ঘটনা ২
মক্কার এক মুশরিক তার উটকে জবেহ করে দিচ্ছিলো। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনি উট টি জবেহ কেন করলেন?
আপনার টাকার প্রয়োজন হলে তো বিক্রি করে দিতে পারতেন। তখন লোকটি বললো,
এই উটের উপর আমার মহিলারা বসতো, বিক্রি করে দিলে এই উটের উপর অন্যপুরুষ বসবে এটা আমার সহ্য হবে না,
তাই এই উটই আমি রাখবো না। একজন মুশরিক হওয়া সত্বেও তার কত গায়রত! আর আমাদের(মুসলিম) ভাই- বোনদের কি দশা??
আস্তাগফিরুল্লাহ্
গায়রতহীন পুরুষরা সবাই দাইয়ুস। রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারা জান্নাত তো পাবেই না, জান্নাতের গন্ধও পাবে না।
অতএব প্রিয় ভাই ও বোনেরা শয়তানের ধোঁকায় নিমজ্জিত হয়ে পরকালীন সুখের জিন্দেগি হারাইও না।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেনঃ
وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الۡغُرُوۡرِ
আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়। (সুরা হাদীদ-২০)
এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে!সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে?
তারা তাদের স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বন্ধুদের সাথে হাসি তামাসা আড্ডায় ব্যস্ত থাকে!!
বউয়ের চুল দেখা যাবে তাতে কষ্ট পাবে তো দূর, বিয়ের সময় বন্ধুকে নিজের বউকে দেখিয়ে পরে আবার শোনে, মেয়েটা কেমন রে!!
বন্ধুদের চোখের খোরাক বানিয়ে তারপর সে বিয়ে করে! আর এটাই নাকি এখনকার ভদ্র সমাজের ট্রেন্ড!
আল্লাহুম্মাগফিরলী
আর এখনকার পুরুষদের গায়রত থাকবে তো দূরের কথা,,,অনেকে গায়রত কি সেটাও জানেনা
হায় আফসোস!
এই উম্মাহর কোনো নেক নারী গায়রতহীন পুরুষকে আপন করে নিয়েছে এমন নজির নাই।
হায় আফসোস! এই উম্মাহর পুরুষরা আজ জানেইনা গায়রত কী?
মহিলারা আজ বোঝেই না গায়রতের মর্ম কি।
বরং তারা গায়রতহীন চাকচিক্যময় নিবেদিত পুরুষদেরই খুঁজে ফিরে হর হামেশা
গায়রতহীন পুরুষরা সবাই দাইয়ুস রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারা জান্নাত তো পাবেই না, জান্নাতের গন্ধও পাবে না।
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন: “তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে যাবেন না —
- মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান,
- পুরুষের বেশ ধারণকারী (চুলের ধরন কিংবা বস্ত্র পরিধানকারী) নারী।
- নেশাদার দ্রব্যে আসক্ত ব্যক্তি এবং দাইয়ুস (অর্থাৎ যে পুরুষ তার স্ত্রী-কন্যা-বোন-মা প্রমুখ অধীনস্থ নারীকে বেপর্দা চলাফেরায় বাধা দেন না,
অথবা যে পুরুষের স্ত্রী-কন্যা-বোন-মা প্রমুখ অধীনস্থ নারীর কাছে পর-পুরুষ প্রবেশ করে, অথচ সে কিছুই মনে করে না;
বরং চুপ থাকে, অথবা যে পুরুষ তার স্ত্রী-কন্যা-বোন-মা প্রমুখ অধীনস্থ নারীর অশ্লীল কাজকর্ম বা ব্যভিচারকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে অথবা কোনরূপ বাধা না দিয়ে মৌন অবলম্বন করে।)।”
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন: “তিন ধরনের মানুষের দিকে বিচার দিবসে আল্লাহ তাআলা তাকাবেন না। মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, পুরুষের সদৃশ অবলম্বনকারী নারী এবং দাইয়ুস।”
— আহমাদ ২/৬৯,১২৮[৪], সুনানে নাসায়ি ২৫৬২, মিশকাতুল মাসাবিহ ৩৬৫৫, মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস নং: ২২৬
ইয়া রব বুঝার তৌফিক দান করুন সকল মুসলিম ভাই বোনকে।
আরো পড়ুনঃ অবাধ্য স্বামীকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট ও দ্বীনের পথে আনার পদ্ধতি