(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
এটা বাঙালি প্রায় প্রতিটা মেয়েরই গল্প। কেউ সবর করে সুখী হয়, কেউ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়।
মেয়ের জীবনে মা বিশাল বড় একটা ভূমিকা রাখে। পেটের কথা,মনের কথা,মগজের কথা সবই মাকে বলতে শুরু করে।
কিছু মেয়ে স্বামীর সাথে ঝামেলা বাঁধিয়ে এমনভাবে মায়ের কাছে বিলাপ করতে থাকে যেন ,
এই স্বামীর চাইতে নিকৃষ্ট মানুষ দুনিয়াতে একটিও নাই এবং একটি মুহূর্তও সংসার করা সম্ভব নয়।
যারা বুদ্ধিমান মা,কন্যার ভালো চায় তারা বিষয়টাকে সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করে নেয়। না মেয়েকে প্রশয় দেয়,না মেয়ে জামাইয়ের সাথে কোমড় বেঁধে ঝগড়া করে
আর না সংসার ভাঙনে উস্কানি দেয়।মেয়ের দোষ না থাকলেও সর্বদা বুঝ পরামর্শ দিয়ে সংসারটারে এক সুতোয় আটকে দেয়।
মা, চাচী,দাদি,নানিদের গল্প শুনেছি,সংসার বাঁচাতে তারা কতকিছু করে গেল। মেয়ের সংসার বাঁচাতে তারা মেয়ের শত্রু হলেও দিনশেষে তৃপ্তির নিঃশ্বাস নিতো।
সেখানে এখন অনেক মায়েরা কুবুদ্ধি দিয়ে সংসারগুলো শেষ করে দেয়। কখনো বা লোভ,কখনো জিদ বা ক্ষমতার আশায়।
আশ্চর্য হই!! নিজের মেয়ের সর্বনাশ এভাবেই করে ফেলে। কখনো অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করে বসে যেটা মেরুদন্ড আছে এমন পুরুষ(মেয়েজামাই) কোনোদিন মেনে নেয় না।
সব কথা সবসময় বাইরে বলতে নেই। কিছু কথা হজম করে নিতে হয়। দেখবেন রাগের বশে জীবনসঙ্গীর সমস্ত দোষ ত্রুটি প্রকাশ করে দিচ্ছেন,মিল মহব্বত হলে খুব আফসোস হবে।
তখন না পারবেন কথাগুলো ফিরিয়ে নিতে আর না পারবেন নিজের স্বামীর দোষগুলো তাদের থেকে ঢাকতে। হোক সে নিজের মা।
আর মা যদি জ্ঞানহীন হয় তবে তো কথাই নেই,তালে তাল মিলিয়ে আরো উস্কে দিবে,তর্ক করে,নিজের সম্মান হারায় এবং পরিনতিটাও হয় ভয়াবহ!
আর আজ যারা নিজের স্বামীর নামে বদনাম করে,ঝামেলা পাকিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে বাপের ঘরে উঠবে।
তারা অবশ্যই আগামীকাল দুনিয়া চিনতে পারবে। মনে রাখতে হবে স্বামীর মতো স্বামী হলে তার চাইতে আপন আর কেউ নাই।
নোটঃ স্বামীর সাথে যতই ঝামেলা (মান-অভিমান)হউক না কেন তৃতীয় কেউ যেন এটা শুনতে না পায়। হউক সে স্বামীর বাড়ির কিংবা বাপের বাড়ির।
আরো পড়ুনঃ স্বামী স্ত্রীর যদি মনোমালিন্য হয় তার সমাধান কিভাবে করবেন, স্বামী গরীব হলে সাহাবী যুগে নারীরা যা করতেন,
আদর্শ পরিবার গঠনে স্বামী ও স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য