শবে-মেরাজ উদযাপন কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী একটি বেদাত।
“মেরাজ” প্রিয় নবী সঃ এর অন্যতম মুজেযা এবং মর্যাদা। আরবীতে বলা হয় اعزاز و اعجاز
কুরআন ও হাদীস দ্ধারা প্রমানিত প্রিয় নবী (সঃ) এর মেরাজ কেউ অস্বীকার করলে ঈমান থাকবেনা।
তিনি স্বশরীরে যে রাতে মেরাজ ও ইসরার বিস্ময়কর সফর করেছেন,
সে রাত ছিল খুবই বরকতময়,কিন্তু সে রাত লাইলাতুল কদরের মত প্রতি বছর ফিরে আসে,
এর কোন প্রমাণ থাকা তো দুরের কথা কবে তা সংঘটিত হয়েছিল তা নিয়ে রয়েছে ব্যপক মতভেদ।
ঐতিহাসিকগণ এব্যাপারে ত্রিশটির বেশি উক্তি উল্লেখ করেছেন।
এসব উক্তির মধ্যে ২৭ শে রজব মেরাজ সংঘটিত হওয়ার কথা ও পাওয়া যায়,এ উক্তিকে প্রধান্য দেয়ার কোন সুযোগ নেই,
ইতিহাসবিদদের মতামতের ভিত্তিতে মেরাজ উদযাপন করতে হলে প্রতি বছর অন্তত ডজন রাত্রিতে মেরাজ পালন করতে হবে!
মুলতঃ এ রাত্রিকে মানুষ যাতে মনগড়া এবাদাতের জন্য বিশেষিত না করে
এজন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল মেরাজের রাত্রি নির্ধারিত করে দেননি, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈন কেউ তা পালন করেননি।
বিশ্বের সব যুগের মুহাদ্দিস ও ফাকীহদের সর্ব সম্মত মত অনুযায়ী শবে মেরাজ উদযাপন,
এ উপলক্ষে বিশেষ নামাজ পড়া,রোজা রাখা বিদআত।
আরো জানুন উপমহাদেশে শিরক ও বিদআতের সূচনা যেভাবে হলো
প্রিয় নবী সঃ বলেন,প্রত্যেক বিদআত পথভ্রষ্টতা,আর প্রত্যেক পথ ভ্রষ্টতার স্থান জাহান্নাম।(আবু দাউদ,নাসায়ী) নাউজুবিল্লাহ!
বিদআতের ব্যাপারে আমাদের নমনীয়তা দেখানোর সুযোগ নেই,কঠোর হস্তে দমন করতে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরো জানুন জন্ম দিবস মৃত্যু দিবস ও শোক দিবস পালন করা বিদআত
1. রজব মাসে মেরাজ উপলক্ষে বিশেষ ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে বিদআত বন্ধ হবেনা,
বিষ প্রয়োগ করে যেমন বিষ নষ্ট করা বোকামি, ঠিক তেমনিবিদআত করে বিদআত বন্ধ করার চিন্তা করা বোকামি ।
2.সারা বছর ব্যাপী বিক্ষিপ্তভাবে মেরাজের আলোচনা হতে পারে,মুলত শুধু রজব মাসে মেরাজের আলোচনা বিদআতের প্রমোট বৈ কিছু নয়।
হযরত উমর (রাঃ) যে সকল মানুষ রজব মাসে বিশেষ রোজা রাখত তাদের হাতের তালুতে আঘাত করে রোজা ভাঙ্গতে বাধ্য করতেন (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা)
3.তথাকথিত মেরাজ দিবসে আলেম উলামাদের প্রকাশ্য কিছু পানাহার করার মাধ্যমে এর অসারতা তুলে ধরা উচিত।
4.মেরাজ পালনের নয়, মেরাজ তাওহীদ ও নামাজের গুরুত্ব অনুধাবনের,এবিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন।
আল্লাহ আমাদের বিদআত ও শিরিক মুক্ত দ্বীনের উপর চলার তাওফিক দিন।