(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
জন্ম, মৃত্যু, শোক দিবস পালন করা বিদআত
কারবালার সাথে আশুরার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে রাসুল সাঃ এর নাতি হযরত হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি আমাদের অন্তরে মহব্বত ও ভালোবাসা ভরপুর।
আশুরার দিনে বুক ছেড়া, মাতম করা, তাযিয়া করা বিদআত
সুতরাং আশুরার নামে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা যে শোক মিছিল করছে, মাতম করছে, বিলাপ করছে,
তাযিয়া বানিয়ে ঢোল তবলা পিটিয়ে মিছিল সহকারে প্রতিমা বিসর্জনের ন্যায় বিসর্জন দিচ্ছে, এ সমস্ত কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বিদআত।
এগুলো ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ। এসবের মাধ্যমে উদ্দেশ্য হলো মুসলমানদেরকে আশুরার মৌলিক শিক্ষা থেকে সরিয়ে গোনাহ ও আল্লাহর নাফরমানীতে লিপ্ত করা।
অথচ ইসলামী শরীয়তে জন্ম দিবস, মৃত্যু দিবস ও শোক দিবস বলতে কিছুই নেই।
শোক দিবস পালনকারীদের ব্যাপারে হাদিসে কঠোর ধমক দেওয়া হয়েছে
বরং এসবের ব্যাপারে শরীয়তে ইসলামে কঠোর ধমকি এসেছে। রাসুল সাঃ ইরশাদ করেন,
ليس منا من ضرب الخدود، وشق الجيوب، ودعا بدعوى الجاهلية
(অর্থ) যে ব্যক্তি ( শোক-দুঃখের কারণে) চেহারায় আঘাত করে,
জামার বুক ফেঁড়ে ফেলে এবং জাহিলিয়াতের ন্যায় হায়-হূতাশ করে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড ও বিদআত কাজ থেকে বিশেষভাবে হেফাজত করুন।
সহীহ দ্বীনের উপর চলার এবং শক্তভাবে আকড়ে ধরার তৌফিক দান করুন। আমীন।
আরো পড়ুন 👇👇
বিধর্মীদের অনুকরণ পরিহার করুন, মুহাররম মাসের কিছু বিদআত ও কুসংস্কার