চতুর্থ পর্ব পড়তে নিচের লেখাতে ক্লিক করুন
ঈমানের পরিচয় ও তাঁর প্রকার ৪র্থ পর্ব
ঈমানের পরিচয় ও তাঁর প্রকার
৫ম-পর্ব
ঈমানের জন্য আমলকে শর্ত করার বিষয়ে কয়েকটি মাজহাব:
ক. খাওয়ারিজ ও মুতাজিলাদের মতে আমল ঈমানেরই অংশ। কাজেই আমল ছেড়ে দিলে ঈমান থেকে বের হয়ে যাবে।
ঈমান থেকে বের হওয়ার ফলে কাফের হয়ে যাবে কিনা, তা নিয়ে আবার তাদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।
খাওয়ারিজদের দাবি, আমল ছাড়ার ফলে ঈমান থেকে বের হয়ে সরাসরি কুফরের মধ্যে প্রবেশ করবে এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
আর মুতাজিলাদের দাবি কুফরের মধ্যে প্রবেশ করবে না, বরং ঈমান ও কুফরের মধ্যবর্তী একটি স্থানে থাকবে
এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামী,তবে তাদের আজাব কাফেরদের আজাব থেকে হালকা হবে।
খ. মুরজিয়াদের বক্তব্য হলো ,আমলের কোন প্রয়োজনই নেই। পরকালীন নাজাতের জন্য শুধু অন্তরের বিশ্বাসে যথেষ্ট।
গ.আহলে সুন্নাত ওয়াল-জামাতের বক্তব্য হলো ,ঈমানের সাথে সাথে নিশ্চয়ই আমলেরও প্রয়োজন আছে।
তবে অলসতা করে আমল ছেড়ে দিলে ফাসেক ও গুনাহগার হবে, কিন্তু কাফের হবে না।
আল্লাহ তা'আলা চাইলে তাকে আজাব দিতে পারেন। আবার ক্ষমাও করতে পারেন। তবে চিরস্থায়ী জাহান্নামী না।
বলা বাহুল্য, আহলে সুন্নত-ওয়াল জামাত যেমন খাওয়ারিজ ও মুতাজিলাদের মত বাড়াবাড়ি করেন না, তেমনি মুরজিয়াদের মত শীতলতাও করেন না।
ইমাম আবু হানিফা রহ.বলেন,
জেনে রাখো আমার মত হলো ,আহলে কিবলা মুমিন। কোনো ফরজ বিধান নষ্ট করার কারণে আমি তাদেরকে ঈমান থেকে বের করে দিব না।
যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সকল ফরজ বিধানের ক্ষেত্রে আল্লাহর আনুগত্য করবে, সে আমাদের নিকট জান্নাতি।
আর যে ঈমান ও আমল (উভয়টা) ছেড়ে দিবে সে কাফের, জাহান্নামি।আর যার ঈমান আছে কিন্তু কোন ফরজ বিধান নষ্ট করেছে,সে গুনাগার মুমিন,
তার বিষয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় থাকবে,তিনি ইচ্ছা করলে তাকে আজাব দিবেন,অথবা ইচ্ছা করলে ক্ষমা করবেন।(রিসালাতু আবি হানিফা ইলা উসমান আল-বাত্তি-৬)
সূত্রঃ বুনিয়াদি আকাইদ
লেখকঃ মাওলানা বেলাল বিন আলী