(মুসলিম বিডি২৪.কম)
بسم الله الرحمن الرحيم
সহীহভাবে নামায না পড়ার শাস্তি নিম্নে দেয়া হলো
ঈমানের পরে নামায হলো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদ। এ নামাযকে সঠিকভাবে সময়মতো আদায় করলে যেমন রয়েছে অফুরন্ত সওয়াব ও বরকতের ওয়াদা।
তেমনি সময়মতো সঠিকভাবে নামায আদায় না করার শাস্তিও রয়েছে ভয়াবহ।
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি সময়মতো নামায আদায় করে, উত্তমরূপে অযূ করে খুশু-খুযূর সাথে,
ধীর-স্থিরভাবে নামাযে দাঁড়ায়,রুকূ-সিজদাও উত্তমরূপে শান্তভাবে আদায় করে, মোট কথা, যে ব্যক্তি নামাযের সব কিছু উত্তমরূপে আদায় করে।
তার নামায উজ্জ্বল ও নূরানী হয়ে ওপরের দিকে যায় এবং নামাযীকে এই বলে দোয়া দু‘আ করে, আল্লাহ তায়া’লা তোমার এরূপ হেফাজত করুন,
যেরূপ তুমি আমার হেফাজত করেছো। অপর দিকে যে ব্যক্তি মন্দভাবে নামায আদায় করে, সময়ের প্রতি খেয়াল রাখে না,
রুকূ-সিজদাও ঠিকমতো আদায় করে না, তার নামায বিশ্রী হয়ে নামাযীকে বদ দু‘আ করে থাকে, আল্লাহ তায়া’লা তোমাকেও এরূপ ধ্বংস করুন।
তুমি আমাকে যেরূপ ধ্বংস করেছো। অতঃপর সেই নামাযকে পুরানো কাপড়ের মতো করে পেঁচিয়ে নামাযীর মুখের ওপর নিক্ষেপ করা হয়।
-তারগীব,তাবরানী
অপর এক হাদীসে নামাযের রুকূ-সিজদা ঠিকমতো আদায় না করাকে নিকৃষ্ট চুরি বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
চুরি কাজটিই ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট, তথাপি নামাযের মধ্যে চুরি করা হলো আরো জঘন্যতম নিকৃষ্ট।
হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর হলো সে ব্যক্তি, যে নামাযে চুরি করে। সাহাবায়ে কেরাম রাযি. আরয করলেন,
ইয়া রাসুলুল্লাহ! নামাযের মধ্যে কীভাবে চুরি করবে?হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন,
নামাযের মধ্যে চুরি হলো, নামাযের রুকূ সিজদা ঠিক মতো আদায় না করা।
-তাবারীন, তারগীব, আহমদ
সাহাবী হযরত আবূ হুযাইফা রাযি. এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে নামাযে রুকূ- সিজদার মধ্যে ভুল করছে । তখন সাহাবী হযরত আবূ হুযায়ফা রাযি. বললেন,
তুমিতো নামাযই পড়নি, এভাবে নামায পড়তে পড়তে যদি তুমি মৃত্যুবরণও কর, তাহলে হযরত রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর তরীকার ওপর তোমার মৃত্যু হবে না।
-বুখারী শরীফ ১/১১২