Breaking News
Home / আল হাদীস / যিলহজ্ব মাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি আমল

যিলহজ্ব মাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি আমল

( বিডি ২৪.কম) 

যিলহজ্ব মাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি আমল

بسم الله الرحمن الرحيم

 

 1.*চুল না কাটা****

হযরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা থেকে বর্ণিত, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী করবে তারা যেন এই ১০ দিন চুল ও নখ না কাটে।

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” مَنْ رَأَى مِنْكُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ، فَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ، فَلَا يَقْرَبَنَّ لَهُ شَعَرًا وَلَا ظُفْرًا “.

(অতএব যিলহজ্বের চাঁদ উদিত হওয়ার পূর্বেই এসব পরিস্কার করে নেয়া উচিত)

2️.*দিনে নফল রোযা ও রাতে ইবাদত করা*

*
যিলহজ্ব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত যত দিন সম্ভব রোজা রাখা। আর রাতের বেলা বেশি বেশি ইবাদত করা।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, ুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

যিলহজ্বের দশদিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্যদিনের তুলনায় বেশি প্রিয়। প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের ন্যায়।

আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত ের ইবাদতের ন্যায়।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : ” مَا مِنْ أَيَّامٍ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ، يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ، وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ “.

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

যিলহজ্ব মাসের ১০ দিনের আল্লাহ তা'আলার নিকট যত প্রিয় আর কোন দিনের আমল তার নিকট তত প্রিয় নয়।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهِنَّ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ الْعَشْرِ “.

3.*আরাফার দিন রোজা রাখা*

প্রথম নয় দিন বিশেষ করে আরাফার দিন অর্থাৎ ৯ যিলহজ্ব নফল রোযা রাখা। (তবে আরাফায় উপস্থিত হাজী সাহেবদের জন্য নয়)

হযরত আবু কতাদা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

আরাফার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আশাবাদী যে, আল্লাহ তায়ালা তার (রোযাদারের) বিগত এক বছরের ও সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।

عَنْ أَبِي قَتَادَةَ ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ” صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ، وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ “.

4.*তাকবিরে তাশরীক বলা*

যিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরয ের পর একবার তাকবীর তাশরীক্ব বলা ওয়াজিব।

পুরুষেরা আওয়াজ করে, আর রা নীরবে তাকবীর বলবে।

তাকবীর তাশরীক্ব:

اللّٰهُ اَكْبَر اللّٰهُ اَكْبَر، لآ اِلهَ إلاّ اللّٰهُ و اللّٰهُ اَكْبَر اَللّٰهُ اَكْبَر، ولِلّٰهِ الحَمْْدْ.*

5.*সচ্ছল ব্যক্তির কোরবানি করা *

যিলহজ্ব মাসের ১০,১১,১২ তারিখের যেকোনো দিন কোন ব্যক্তির মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ।

অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। পুরুষ মহিলা সকলের উপরে এ বিধান প্রযোজ্য।

(কঠোর হুঁশিয়ারি) 

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

যে ব্যক্তি সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কুরবানী করলো না। সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ” مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ وَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا “.

About Mijanur Rahman Shaif

মাওঃ মিজানুর রহমান সাইফ সাহেব। একজন লেখক | সাংবাদিক | গবেষক তিনি দ্বীনের আলো মুসলিম উম্মাহর কল্যানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে মুসলিমবিডি টুয়েন্টি ফোর ডটকমকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছেন।

Check Also

অধিক হারে ইস্তেগফারের ফজিলত

ইস্তেগফারের ফজিলত

হামদ ও সালাতের পর… রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যত ভালো কাজ শিক্ষা দিয়েছেন, তাতে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost