(মুসলিম বিডি ২৪.কম)
بسم الله الرحمن الرحيم
নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে খুশু-খুযূ হাসিল হবে ইনশাআল্লাহ
নামাযের বাহিরের যে সব খেয়াল ও কল্পনা নামাযের সময় মুসল্লীদের মাথায় আসে, সেগুলো দূর করার একাধিক নিয়ম আছে।
সেগুলোর বিবরণ নিম্নে দেয়া হলো। যার জন্য যেটি সহজতর মনে হবে, সেটি গ্রহণ করে সে মতে আমল করার চেষ্টা করবে। ইনশাআল্লাহ অবশ্য ফল পাবেন।
পদ্ধতি –১ : নামায শুরু করার পর এ কল্পনা করুন, আমি আল্লাহ তা‘য়ালাকে দেখছি। অন্যদিকে মন যাওয়া মাত্রই এ কল্পনা করুন।
এতে ইনশাআল্লাহ নামাযে মনোযোগ সৃষ্টি হবে।
পদ্ধতি – ২ : নামায শুরু করার পর কল্পনা করুন, আমি কীভাবে নামায পড়ছি কীভাবে তেলাওয়াত করছি, কীভাবে কিয়াম-কুউদ ও রুকু- সিজদা করছি।
তা সবই আল্লাহ তা‘য়ালা দেখছেন। মনে মনে ভাবতে থাকুন, খুশু-খুযূ পয়দা হচ্ছে।
পদ্ধতি – ৩ : নামাযে তেলাওয়াত, তাসবীহ, যিকির সব আরবী ভাষায়। এগুলোর অর্থ ও মর্মের প্রতি মনোযোগ দিন।
এতে ইনশাআল্লাহ নামাযের মধ্যে মগ্নতা সৃষ্টি হবে।
পদ্ধতি – ৪ : তেলাওয়াত, তাসবীহ, যিকিরের শব্দের প্রতি মনোযোগ দিন। সেগুলো খেয়াল করুন এবং সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন।
সাধারণ মানুষের জন্য এ পদ্ধতিটি খুবই সহজ একা একা নামায পড়ার সময় তেলাওয়াত ও যিকিরের বাক্যগুলো একটু জোরে উচ্চারণ করুন,
যেনো তার আওয়াজ নিজ কানে পৌঁছে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, তা যেনো আবার পাশের কোনো ব্যাক্তির ইবাদত বা অন্য কোনো আমলে বিঘ্ন সৃষ্টি না কর।
পদ্ধতি – ৫ : মনে মনে একল্পনা করু, আমি আল্লাহর ঘর ‘বাইতুল্লাহ’ দেখছি। বাইতুল্লাহ আমার চোখের সামনে। আমি বাইতুল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছি।
পুরো নামাযে বাইতুল্লাহর কল্পনা করুন। এতে নামাযে মন বসবে। খুশু-খুযূ সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।
পদ্ধতি– ৬ : নামাযের রুকনগুলো ভাবনার ভিতর দিয়ে আদায় করুন। যেমন–নামায শুরু করার পর একথা ভাবুন, এখন আমি কিয়াম করছি।
আমার কিয়ামের সুন্নাতগুলো ঠিক আছে তো? রুকুতে যাওয়ার পর একথা ভাবুন, এখন আমি রুকূ আদায় করছি, আমার রুকূর সুন্নাতগুলো ঠিকমতো আদায় হচ্ছে তো?
সিজদায় গিয়ে এবং তাশাহহুদে বসেও একথা ভাবুন, আমার এই রুকনটা সুন্নাত তরীকায় আদায় হচ্ছে তো?
এভাবে প্রত্যেকটা রুকন ভেবে-চিন্তে আদায় করলে মন-মস্তিষ্কে কোনো বদখেয়াল ও বাজে কল্পনা আসবে না। নামাযে অবশ্যই মনোযোগ এবং নিমগ্নতা সৃষ্টি হবে, ইনশাআল্লা।
পদ্ধতি – ৭ : নামাযের মধ্যে যদি এই ধ্যান করা হয়, এই নামাযই হয়তো আমার জীবনের শেষ নামায,
এরপর হয়তো আমার মৃত্যু হয়ে যেতে পারে।
তাহলেও নামাযেে একাগ্রতা সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।
পদ্ধতি – ৮ : ভাবুন, দুনিয়ার রাজা-বাদশার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেউ অন্য মনষ্ক হয় না। আমি নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তায়া’লার সঙ্গে কথা বলছি।তাহলে আমি অন্য মনষ্ক হই কীভাবে?
এখানে স্মরণ রাখা উচিত, উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করতে গিয়ে খুশু-খুযূ হাসিলের জন্য মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন না।