(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
সমুদ্রের উর্বর বেলাভূমি। উর্বরতার স্নিগ্ধ-কোমল আচারে গজিয়ে উঠেছে হরেক প্রজাতির বৃক্ষ।
ছোট , বড় , মাঝারিসহ সব জাতের গাছই এখানে আছে। অল্প দিনে বেড়ে উঠা কদম গাছটি সহজে দৃষ্টিগোচর হয়।
গাছটির ঊর্ধ থেকে নিম্নদেশের দিকে একটি শাখা অনেকটা নেমে এসে বাঁকিয়ে গিয়ে আবার উঠে গেছে উপরের দিকে।
বাঁকা মূঢ়টাতে সুবিধা পেয়ে খোপ খুঁড়ে বাসা বাঁধতে এলো বাংলার সুরেলা সুন্দর পাখি ভগীরত।
বর্ষায় বৎসরে যে দু'একবার সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ-গ্রাসে অন্যান্য ছোট গাছের সাথে এ ডালটিও আক্রান্ত হয় তা জান্ত না নির্বুধ পাখিটি।
সারাদিন ঠোঁট ঠোকরে কয়েকদিনে গর্ত খুঁড়ে নিলো নরকে নিয়ে মাদী পাখি।
তারপর দূর দূর থেকে বয়ে নিয়ে আসা খড়কুটো দিয়ে তৈরি করে নিলো স্বপ্নের সেই বাসা।
একের পর এক চারটি ডিম দিয়ে বাইরের সকল কাজ থেকে অবসর হয়ে তা দিতে বসলো ডিমে।
কয়েকদিন যেতে না যেতেই উপরে ভেঙ্গে পড়তে লাগলো বিপদের পাহাড়, একের পর এক।
বুনো পিঁপড়েরা এসে ঘেরাও দিলো বাসা। নর পাখিকে বসিয়ে বাইরে খাদ্য গ্রহণ থেকে ফিরে এসে মাদী পাখিটি দেখলো অস্বাভাবিক নড়াচড়ায় হাঁপিয়ে উঠেছে নর ভগীরত।
কারণ খুঁজতে গিয়ে জানতে পারলো রাক্ষসী পিঁপড়দের তান্ডব।
বাসা তো ওরা ঘেরাও করেছেই সেইসাথে ঢুকে পড়েছে নর পাখির দেহভরা লোমের পরতে পরতে।
যন্ত্রণা সইতে না পেরে উড়ে গিয়ে বসেছে দূরের একটি গাছের মগডালে।
পাশে গিয়ে বসলো সহমর্মিনী মাদী পাখিও। “আর এখানে থাকা যাবে না।
আমাদের স্বপ্নের সোনালী সৌধ ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেছে। আশার আলো মেঘের অন্ধকারে ছেয়ে গেছে।”
গা ঝাড়তে ঝাড়তে বললো নর পাখি। “কেনো এতো পেরেশান ?
যে করে হোক তা তো আমাদেরকে দিতেই হবে। নইলে যে আমাদের কলিজার টুকরো বাচ্চারা অসহায় হয়ে ডিমের অন্ধকার প্রকুষ্ঠে মারা পড়বে গো।”
বলেই নরের দিকে তৃষ্ণার্ত নয়নে অপলক চেয়ে থাকলো মাদি পাখিটি।
“আমি আর পারছি নারে , এই রাক্ষসী পিঁপড়েরা আমাদের বাসার সন্ধান পেয়ে গেছে, যতক্ষণ না ডিমগুলো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে ততক্ষণ পর্যন্ত ওরা এ বাসা ত্যাগ করবে না।
এমতাবস্থায় আমরা যদি ডিম তা দিতে বসি তবে তো আমাদেরকে টুকরো টুকরো করে খেয়ে ফেলবে।
আহা! কতই না যন্ত্রনাময় এদের কুটুস কুটুস কামড়। এ অল্প সময়েই আমি অসহ্যের সীমায় পৌঁছে গেছি।এসো, এখান থেকে আমরা চলে যাই।” বললো নর ভগীরত।
মাদী পাখি বললো,__” দেহের রক্ত-ঘর্মে গড়া এ সংসার কী করে ফেলে দিয়ে যাই! কী করে যাইগো বলো আমাদের
ভবিষ্যত-প্রজন্মদের মরার হাতে ফেলে দিয়ে। ডিমের ভেতরকার জ্যন্ত প্রাণগুলো আমাদেরই করুণার উপর ভরসা করে চেয়ে আছে।
তুমি চলে যাবে তো যাও! আমি এদের মুক্তির লক্ষ্যে খেটেই যাবো, যতক্ষণ না প্রাণবায়ু আমার এ দেহ ত্যাগ করেছে।”
বিতর্কের একপর্যায়ে নর ভগীরতটি চলেই গেলো, দূর__ না জানার দেশে।
চোখের জল মুছতে মুছতে মাদী পাখিটি বাসায় গিয়ে বসলো।
অমনি বাসায় জড়ো হওয়া পিঁপড়েরা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে পাখিটির সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়লো।
কিছুক্ষণ পাখিটি সয্য করে বসলো, যখন পিঁপড়েরা দলে দলে এসে তার শরীরের পালকে পালকে ছেয়ে গেলো তখনি পাখিটি
উঠে গিয়ে দূরের কোথাও বসে দেহ ঝেড়ে পিঁপড়াগুলোকে ফেলে আসলো।
এই প্রক্রিয়া অবলম্বনে কয়েকবার এমনটা করলো। পরে দেখাগেলো ধীরে ধীরে পিঁপড়ার সংখ্যা কমে আসছে।
এবার পাখিটি বেশ আনন্দিত। শেষ পর্যন্ত পিঁপড়াদের অল্প যারা রয়ে গিয়েছিল তাদেরকে নিজের ধারালো ঠোঁটের আঘাতে আঘাতে শেষ করে দিলো।
যাক , এবার চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া গেলো।
এখন থেকে নিশ্চিন্ত মনে পাখিটি তা দিতে লাগলো ডিমগুলো।
আর বাচ্চা ফুটার পর তাদেরকে নিয়ে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে নিঃসঙ্গ জীবনের কিছুটা হলেও অবসান ঘটানোর স্বপ্ন বুনতে লাগলো।
এভাবে চলে গেলো কিছুদিন। তারপর এক রোদেল প্রভাত সমস্ত দুনিয়ার জন্য প্রফুল্লতার বার্তা নিয়ে এলেও পাখিটির জন্য তা ছিলো বিস্বাদ ভরা ভোর।
পেঠের দায়ে কিছু আহারের সন্ধানে বেরিয়ে গিয়ে যখন ফিরে এলো , দেখলো এক বিষধর সাপ বাসার দিকে এগিয়ে আসছে।
বাসায় ঢুকা নিরাপদ নয় বুঝে পাখিটি আড়ালে বসে চেয়ে থাকলো।
দেখলো গন্ধ সুঁকে সুঁকে বাসার একেবারে কাছে চলে এসেছে। পাখির মনে ধড়ফড় শুরু হয়ে গেলো।
ডিমের প্রকোষ্ঠে থাকা বাচ্চাদের প্রতি ভালোবাসার সবটুকু যেনো উছলে উঠেছে।
পাখা ঝাপটিয়ে এডাল থেকে ও ডাল ছুটাছুটি করতে লাগলো নিরীহ পাখিটি। এরই মধ্যে গর্তে মাথা ঢুকাতে শুরু করলো সাপ।
পাখি তখন ছুটে এসে ধারালো ঠোঁটের আঘাত হানলো সাপের গায়ে।
অমনি চট করে মাথা বেরিয়ে নিলো সাপ, এবং আঁচ করতে লাগলো ঘটনা।
যেই দেখলো পাখিটি তার উপর ক্ষেপে গিয়েছে , সাথে সাথে নিজেকে সামলাতে পুরো শরীর বাসায় প্রবেশ করিয়ে নিলো, আর মাথা বের করে পাখিকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো।
পাখি তখন অশান্ত চঞ্চলের মতো এ পাশ ও পাশ উড়াউড়ি করতে লাগে এবং সুযোগ পেলেই সাপকে আঘাত করে।
অনেকক্ষণ পর সাপ হঠাৎ ধপাস করে মাটিতে পড়ে যায় আর সাথে সাথে পাখিটি
হারানো মানিক খুঁজে পাওয়ার মতো করে উড়ে গিয়ে উভয় ডানা ছড়িয়ে ঝাপটে বসে বাসার উপর।
তারপর ?
তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে যা দেখলো , বাস্তবেই তা মর্মাহত করলো দুঃখিনী পাখিকে।
দেখলো , সাপের নড়াচড়ায় লেজের আঘাতে চারটি ডিমের দুটুই ভেঙ্গে গিয়েছে।
ব্যথাভরা দিলের এ যাতনা অনেক কষ্টে সয়ে নিয়ে পাখিটা এবার বাকি দু'টি ডিমে তা দিতে লাগলো।
ইতি মধ্যেই ডিমের ভেতর প্রাণ এসে গেছে। আরো দু'একদিন তা দেয়ার পর ডিমে ছিদ্র হয়ে গিয়ে বাচ্চারা এবার অক্সিজেন নিতে শুরু করে। মায়ের আনন্দের সীমা নেই।
সন্তান লাভের খুশিতে আত্মহারা। ভুলে গেছে অতীতের সকল কষ্ট।
পরদিন বিকেল বেলা, ডিমের খুলস অতিক্রম করে ছানা দু'টি বেরিয়ে আসে আজব দুনিয়ায়।
মায়ের ভালোবাসার সাগরে তরঙ্গ জেগে বার বার ঢেউ লেগে সৃষ্টি করে অদ্ভূদ শব্দমালার।
এ শব্দের অর্থ বাহ্য অভিধানে নেই। তা, যে করোর বুধগম্য নয়।
কেবল মাতৃহৃদয়ই তা বুঝতে পারে , বেলা মাধ্যম অতিসহজে। সন্তানদের খাবার জুগাড়ের সন্ধানে মা বেরিয়ে গেছে ।
নরম খাবার এনে এনে সন্ধা নামার আগেই বাচ্চাদের উদর পূর্তি করে নিলো মা।
রাত নামলো। গভীর হলো। মা-ছানারা প্রবল নিদ্রার কোলে। এমন সময় হঠাৎ আকাশে গর্জন।
ঘন ঘন বিজলী আর সাথে ধমকা বায়ু।
ঘুম ভেঙ্গে যায় ভগীরত পরিবারের। অবাক হয়ে ছানারা মাকে জিজ্ঞেস করে,__
“এ কী মা! এ কী!”
মাঃ এ না , ঝড়ো বৃষ্টি।
ছানাঃ ঝড়়ো বৃষ্টি হলে কী হয় মা?
মাঃ ঝড়ো বৃষ্টি হলে না, অনেক সময় বাসা-বাড়ী, গাছ-পালা, বন-বাদাড় সব ভেঙ্গে চূর্ণ করে দেয়।
ছানাঃ আমাদের বাসাও মা?
মাঃ হ্যাঁ আমার সোনা মনিরা।
এমন সময় মহাপ্রলয়ের মতো এসে কদম গাছে ধাক্কা লাগলো ধমকা বায়ুর।
প্রাণ ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো ছানারা।
মা ডানা আরো প্রসারিত করে ছানাদের আগলে নিলো, আর শান্তনা দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে নিলো।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তুফান বন্ধ হয়ে আসলেও বন্ধ হলো না বৃষ্টি। সারা রাত বৃষ্টি ঝড়লো।
পরদিনও বৃষ্টি। এভাবে লাগাতার ৩ দিন ৩ রাত। বৃষ্টির মাঝে অনেক কষ্টে মা ভিজে ভিজে গিয়ে আধার এনে বাচ্চাদের খাওয়ায় , নিজেও খায়।
এ দিকে সমুদ্রের পানি বাড়তে বাড়তে কদম গাছের গুড়া পর্যন্ত এসে স্পর্শ করেছে।
পানি এখনো বাড়ছে। ৩ দিনের মাথায় বৃষ্টি ধরে এলেও উজানে কিন্তু এখনো বৃষ্টি চলছে।
বৃষ্টির সেই রাশি রাশি জল মাতালের মতো ধেয়ে এসে সমুদ্রের জলে মাত্রা বৃদ্ধি করেই চলছে। চার দিনের মাথায় এসে সমুদ্রের উত্তাল জলরাশি কদম গাছটির আশপাশের
সকল ছোট গাছ তলিয়ে দিয়ে কদমগাছের ওই ডালটিকে ছুঁই ছুঁই করছে যেটাতে ভগীরত বাসা বেঁধেছে।
আজ রাত যদি পানি আরো এক বিগত বেড়ে যায় তবে ডালের ফুকরে পানি ঢুকে বাসায় থাকা দুর্বল অসহায় ছানাগুলোকে ধ্বংস করে দিবে।
এই চিন্তা মাথায় রেখে মা সন্ধালগ্নে গর্তে ঢুকলো। অন্যদিনের মতো এত এত আনন্দ-ফূর্তি নেই আজ, নেই বাচ্চাদের নিয়ে খেলা করার চেতনাও। ছানা দুটো পরস্পর মুখ চাওয়াচাওয়ি
করে মায়ের বিষন্ন চেহারার দিকে তাকিয়ে বললো, “এতো বিষন্ন কেনো মা? আমরা কি দুঃখ দিয়েছি তোমায়?”
নির্বুধ ছানাগুলো দুনিয়ার বিচিত্র প্রকৃতির সাথে পরিচিত নয় বিধায় একটু পরেই যে বাসাতে পানি ঢুকতে যাচ্ছে সে ব্যাপারে বেখবর।
ভারাক্রান্ত মনে মা সন্তানদের দুটো কথা বললো, __ ” আমার কলিজার টুকরো বাচ্চারা, তোমরা দুনিয়াতে আসার পর থেকেই বৃষ্টির দুর্যোগ শুরু,
ফলে যথাযথ আমি তোমাদের আধার এনে খাওয়াতে পারিনি। সেই অভুক্ততার প্রভাব হেতু তোমাদের মধ্যে দুর্বলতার স্পস্ট ছাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আমার এ অপারগতা চিরতরে ক্ষমা করে দিও ছানারা, ক্ষমা করে দিও!” এই বলে কাঁদতে কাঁদতে পাখার নিচে মুখ ঢাকা দিলো মা। কাতর নয়নে মায়ের দিকে তাকিয়ে চেয়ে থাকলো
ছানা দুটো। ফুঁপিয়ে কেঁদে কেঁদে কিছুক্ষণ পর নিজেকে সংবরণ করে মাথা তুলে আবারো কথা শুরু করলো মা।
আমাকে মা বলে যা ডাকার এখনি ডেকে নাও, হয়তো এমন ফুর্সাত তোদের আর আসবে না। ছোট ছানাদের মায়ের মনের আবেগ বুঝার ক্ষমতা এখনো হয়নি,
তাই ওরা জেরের স্বরে বলতে শুরু করলো, ” আজ এমন করছো কেনো মা ? এসো না , প্রতিদিনের ন্যায় আমাদেরকে ডানার নিচে করে ঘুম পাড়াও!
মৃত্যুর পয়গাম যে দুয়ারে এসে ধ্বনিত হচ্ছে এব্যাপারে অবুঝ ছানারা এখনো বেখবর দেখে বেদনায় হারিয়ে গেলো মায়ের মুখের ভাষা।
তাই নির্বাক। বইতে লাগলো দুটি নয়ন হতে অবিরাম অশ্রু ধারা। এরই মধ্যে ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। ঢেউয়ে ঢেউয়ে অল্প অল্প পানি বাসায় ঢুকতে শুরু করছে।
বাচ্চাদের উদ্ধার করতে নিরুপায় মা এখানে থাকলে নিজের জানের খতরা আছে ভেবে শুধু এতটুকু বলে বেরিয়ে গেলো,
” জীবনের সবটুকু দিয়ে তোদের আগলে রাখতে চেয়েছিলাম, আমার প্রাণ দিয়েও যদি রক্ষা করা যেত , তাও করতাম ।
কিন্তু হলো নারে , হলো না। বাচ্চাদের মুখের দিকে শেষ বারের মতো তাকিয়ে চোখের জ্বল ছাড়তে ছাড়তে বললো মা, ” চললাম ছানারা, বিদায়, আল-বিদায়!”
এরি মধ্যে ঢেউ আরো বেড়েছে , পানি একটু বেশি ঢুকতে শুরু করেছে। খড়কুটু দিয়ে গড়া বাসার তলা ভিজে গিয়ে বাচ্চাদের গায়ে পানি স্পর্শ করতেই নড়েচড়ে উঠলো ওরা।
এমন সময় দূর থেকে ধেয়ে আসা এক বিশাল জলের ঢেউ এক ধাক্কায় ভেঙ্গে নিয়ে গেলো ডালটি। বুঝে উঠার আগেই কোনোরূপ সাড়াশব্দ ছাড়া প্রাণ হারালো ছানা দুটু।
রাতের আঁধারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। উপরের ডালে বসে শুধু অশ্রু ঝরাচ্ছে মা। রাত শেষ হয়ে যখন প্রভাত এসে বাসার উপর আলো ফেললো,
অমনি পরিণাম দেখে মায়ের ছাতি ফেটে যাওয়ার উপক্রম হলো। মে ডালটিতে বাসা বুনেছিলো পাখি , এখন তার কোন অস্তিত্বই দেখা যাচ্ছে না।
সারা রাতে বেড়ে উঠা পানি সমুদ্রকে ভরে দিয়ে ভোরের আলোয় টইটম্বুর খেলছে। দৃষ্টি দিগন্তের যেদিকেই পড়ছে , সমুদ্র আর আকাশ সেদিকেই এক হয়ে গেছে।
আকাশমেশানো ঝাপসা দূর দিগন্তকে হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরের আলো আরো ঝাপসা করে তুলেছে।
দুঃখিনী পাখিটি ওই ঝাপসা দিগন্তের দিকে কিছুক্ষণ অপলক তাকিয়ে কি যেনো ভাবলো ।
তারপর এক রাশ ব্যাথা বুকে চেপে ধরে, ওই ধূসর দিগন্তের দিকে মারলো উড়া । কিছুক্ষণের মধ্যেই হারিয়ে গেলো দিগন্তের বিশালতায়। আর ফিরলো না!