Breaking News
Home / আল কোরান / সুরা ফাতেহা এর ফজিলত

সুরা ফাতেহা এর ফজিলত

(বিডি২৪ ডটকম)

সুরা ফাতেহা এর ফজিলত

হযরত আবু সাঈদ ইবনে মোআললা (রা.) বলেন আমি মসজিদে নামাজ পড়ছিলাম এমন সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন ।

আমি জবাব  দিলাম না, যে যাবত  না নামাজ শেষ করলাম । অতঃপর তার নিকট যেয়ে বললাম ইয়া রাসুল আল্লাহ!

আমি নামাজ পড়ছিলাম। তিনি বললেন আল্লাহ কি বলেন নাই যে আল্লাহ এবং রাসূলের জবাব দাও যখন তারা ডাকেন!

অতঃপর হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আমি কি তোমাকে শেখাবো না কুরআনের শ্রেষ্ঠতর সূরা,

তোমার মসজিদ থেকে বাহির হওয়ার পূর্বে  ?অতঃপর তিনি আমার হাত ধরলেন তৎপর যখন আমি  বাহির হতে ইচ্ছা করলাম।

আমি বললাম ইয়া রাসুল আল্লাহ আপনি না বলে ছিলেন আমি তোমাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠতর সূরা শেখাবো ।

তখন তিনি বললেন তা হলো সূরা “আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন” এটি সেই সাতটি পুনরাবৃত্ত আয়াত এবং মহা কুরআন যা আমাকে দেওয়া হয়েছে।

(বুখারী)

ব্যাখ্যা:

সুরা ফাতেহা আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের নিকট বহুত সম্মানিত সূরা এবং সুরা ফাতেহা এর মধ্য শব্দ কম কিন্তু তার অর্থ এবং িতা অনেক।

এইজন্য বলা হয় সুরা ফাতেহা এর এক অংশের মধ্যে দ্বীন এবং র সমস্ত দাবি এসেছে।

বরং কিছু কিছু খোদা প্রেমিকগণ এমন বলেন যে পূর্ববর্তী যত আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে ঐসব কুরআন মজিদের মধ্যে আছে,

এবং যা কিছু কোরআন মাজীদ এর মধ্যে আছে ঐসব   এর মধ্যে আছে এবং যা কিছু সূরা ফাগতেহার মধ্যে আছে ঐ সব বিসমিল্লাহর মধ্যে আছে।

কোরআনে বলা হয়েছে আমি আপনাকে সাতটি পুনরাবৃত্ত (আয়াত) এবং মহা কোরআন দান করেছি।

হযরত উমর (রা.) হতে বর্ণিত আছে সাত আয়াত অর্থে কোরআন এখানে সূরা ফাতেহাকেই বুঝানো হয়েছে।

এতে সাতটি আয়াত রয়েছে এটি নামাজের মধ্যে পূণ:পূর্ণ আবৃত্তি করা হয়ে থাকে এবং মহা কোরআন অর্থেও এটাকে বুঝানো হয়েছে।

সূরা ফাতিহার ন্যায় কোন সূরা নেই

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) একদা হযর‍্ত উবাই ইবনে কাবকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কিরূপে নামাজে কোরআন পড়?

তিনি সূরা ফাতিহা পড়ে শুনালেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, কসম সেই খোদার যার হাতে আমার

এর ন্যায় কোন সূরা না তাওরাতে নাজিল হয়েছে না ইঞ্জিলে না জাবুরে। এটি হল পুনরাবৃত্ত সপ্ত আয়াত এবং মহান কোরআন যা আমাকে দেওয়া হয়েছে।

তিরমিযী এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন,  এটি হাসান সহীহ আর দারেমী বর্ণনা করেছেন “এটির ন্যায় কোন সূরা নাযিল হয়নি” পর্যন্ত।

সূরা ফাতিহায় সকল রোগের আরোগ্য রয়েছে

আব্দুল মালেক ইবনে ওমায়ের (রহ.) মুরসালরূপে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সূরা ফাতিহায় (শারীরিক ও মানসিক)  সকল রোগের আরোগ্য রয়েছে।

(দারেমী) আর বায়হাকী শো,আবুল ে)

ব্যখা:

যদি কোন ব্যক্তি সূরা ফাতিহাকে বিশ্বাসের সাথে করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা এই সূরার বরকতে

ঐ ব্যক্তির ীয় ও পার্থিব গোপনীয় এবং বহির্গত সমস্ত , মুসিবত থেকে মুক্তি দিবে।

বিজ্ঞ েরা বলেন যে, যদি কোন প্রকার শারীরিক অসুস্থ এবং আত্নিক অসুস্থতার কারণে কোন ব্যক্তি সূরা ফাতিহা লিখে,

তা গলায় ঝুলিয়ে রাখে,  তাহলে আল্লাহ তাকে ঐ অসুস্থতা থেকে মুক্তি দিবে।

(সূত্র: কোরআনের মহিমা-৯২,৯৩,৯৪)

About Admin

আমার নাম: এইচ.এম.জামাদিউল ইসলাম ঠিকানা: সিলেট, বাংলাদেশ। আমি কোরাআনের খেদমতে আছি এবং MuslimBD24.Com সাইটের ডিজাইনার (Editor) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায়, তাই সময় পেলে দ্বীন ইসলাম প্রচারের সার্থে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখালেখি করি। যাতে করে অনলাইনেও ইসলামিক জ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞানহীন মানুষ, ইসলামিক জ্ঞান সহজে অর্জন করতে পারে। একজন মানুষ জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিজের জীবনকে ইসলামের পথে চালাতে গেলে ইসলাম সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করার দরকার, ইনশা-আল্লাহ! এই ওয়েব সাইটে মোটামুটি সেই জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। যদি সব সময় সাইটের সাথে থাকে। আর এই সাইটটি হল একটি ইসলামিক ওয়েব সাইট । এ সাইটে শুধু দ্বীন ইসলাম নিয়ে লেখালেখি হবে। আল্লাহ তায়ালার কাছে এই কামনা করি যে, আমরা সবাইকে বেশী বেশী করে ইসলামিক জ্ঞান শিখার ও শিখানোর তাওফিক দান করুন, আমিন। তাজবীদ বিষয়ে কিছু বুঝতে চাইলে যোগাযোগঃ 01741696909

Check Also

রাসূলের সা. প্রতি দোষারোপের জবাব

রাসূলের সা. প্রতি দোষারোপের জবাব

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম) কাফেররা বিভিন্ন সময়ে রাসুলকে সা. বিভিন্ন দোষারোপ পুর্ণ নাম দ্বারা সম্বোধন করত। অপরদিকে আল্লাহ …

Powered by

Hosted By ShareWebHost