(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
(তাবেঈ) হযরত আতা ইবনে আবি রাবাহ (রহ.) বলেন, আমার নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে একথা পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
যে ব্যক্তি দিনের প্রথম দিকে (অর্থাৎ ফজরের পর) “সূরা ইয়াসিন পড়বে, তার সমস্ত হাজত আল্লাহ তায়ালা পূর্ণ করে দিবে।
(দারেমী মুরসালরূপে)
মৃত্যু আসন্ন ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসিন পাঠ করা
হযরত মাকেল ইবনে ইয়াসার মুযানী (রা.) বলেন, নবী কারীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি শুধু সন্তোষলাভের উদ্দেশ্যে “সূরা ইয়াসিন ” পড়ে, তার পূর্ববর্তী গোনাহ সমূহ মাফ করা হবে।
সুতরাং তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তির নিকট তা পড়।
(বাইহাকী-শুআবুল ঈমান)
ব্যাখ্যা:
যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন পঠ করে, আল্লাহ তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন।
এর উদ্দেশ্য যে, আল্লাহ তার ছগীরা গোনাহ মাফ করে দেবে এবং কবীরা গোনাহও মাফ করে দিতে পারে, যদি আল্লাহর অতিরিক্ত মেহেরবাণী এবং অশেষ রহমত মিলিত হয়।
তোমরা মৃত ব্যক্তিদের নিকট সূরা ইয়াসিন পাঠ কর। এর উদ্দেশ্য যে, আসন্ন মৃত ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসিন পাঠ কর।
তাহলে সে তার জীবনের শেষ সময়ে সূরা ইয়াসিন শুনল এবং তার অর্থের দিকে খেয়াল করলে তার আযাব মাফ হওয়ার কারান হতে পারে।
অথবা মৃত ব্যক্তির গোনাহের ক্ষমা প্রার্থনার জন্য সূরা ইয়াসিন পাঠ কর।
কোরআনের রূহ সূরা ইয়াসিন
হযরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি ক্বলব (জান) রয়েছে। আর কোরআনের ক্বলব হলো “সূরা ইয়াসিন”।
যে এই সূরা একবার পড়বে আল্লাহ তায়ালা এর দরুন তার জন্য দশবার কোরআন (খতম) পড়ার সওয়াব নির্ধারণ করবে।
(তিরমিযী ও দারেমী, কিন্তু তিরমিযী বলেছেন হাদীসটি গরীব)
সূরা ত্বোয়া-হা এবং সূরা ইয়াসিনের শ্রেষ্ঠত্ব
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা আসমান ও জমীন সৃষ্টির এক হাজার বছর পূর্বে সূরা ত্বোয়া-হা ও ইয়াসিন পাঠ করেছেন।
যখন ফেরেশতাগণ তা শুনলেন, বললেন- ধন্য সেই জাতি, যাদের উপর এই সূরা নাজিল হবে। ধন্য সেই পেট, যে তা ধারণ করবে এবং ধন্য সেই মুখ, যে তা উচ্চারণ করবে।
(দারেমী)
ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তায়ালা ঐ দুই সূরাকে পাঠ করেছেন এর উদ্দেশ্য যে, আল্লাহ তায়ালা ঐ দুই সূরাকে ফেরেশতাদের সামনে প্রকাশ করেছেন।
আর তাদের সামনে ঐ দুই সূরা তিলাওয়াতের সওয়াব বয়ান করেছেন।
অথবা আল্লাহ তায়ালা তার ফেরেশতাদেরকে এই দুই সূরা শিক্ষা দিয়েছেন এবং তার অর্থ বুঝিয়েছেন।
আল্লামা ইবনে হজর (রহ.) এর মতে আল্লাহ তার কিছু ফেরেশতাদেরকে হুকুম দিয়েছেন যে, তোমরা এই দুই সূরার ফজিলত এবং শ্রেষ্ঠত্ব সমস্ত ফেরেশতাদের সামনে প্রকাশ করে দাও।
(সূত্র: কোরআনের মহিমা-১০৯,১১০,১১১)