Breaking News
Home / ইসলাম ধর্ম / নিজ স্ত্রী ও দাসীর গুপ্তাঙ্গ দেখার হুকুম কি

নিজ স্ত্রী ও দাসীর গুপ্তাঙ্গ দেখার হুকুম কি

(২৪ ডটকম)

নিজ স্ত্রী ও দাসীর গুপ্তাঙ্গ দেখার হুকুম কি

নিজের ও ক্রীতদাীর সর্বাঙ্গ দেখা আছে। তবে লজ্জাস্থান না দেখা মুস্তাহাব।

মুহাররামাত (ঐ সকল নিকটাত্নীয় যাদের সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ) ও পর দাসীর মাথা, চেহারা, পায়ের নালা ও বাহু দেখা জায়েজ।

আর যৌন কাম ভাবমুক্ত অবস্থায় উক্ত অঙ্গসমূহ স্পর্শ করাও জায়েজ। পেট, পিঠ ও রান দেখা জায়েজ নেই।

গোলাম তার মনিবের ক্ষেত্রে বেগানা পুরুষের পর্যায়ভুক্ত। (সুতরাং গোলামের জন্য তার মহিলা মনিবের দু'হাত ও চেহারা ব্যতীত অন্য কোন অঙ্গের প্রতি দৃষ্টিপাত করা জায়েজ নেই।

বিবাহ বা ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বেগানা মহিলার প্রতি দৃষ্টিপাত জায়েজ কি না?

যৌন কামনার ভাব থাকা সত্ত্বেও বিবাহ করার নিয়তে বেগানা মহিলা দেখা জায়েজ এবং খরিদ করার সময় বাদীকে দেখাও জায়েজ।

তদ্রূপ সাক্ষী হওয়া বা সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এবং হাকিমের ফয়সালা দেয়ার সময় বেগানা কে দেখা জায়েজ আছে।

কি?

নপুংসক (যার লিঙ্গ নেই বা লিঙ্গ কর্তিত) ও অণ্ডকোষহীন লোকের হুকুম পুরুষের ন্যায়।

শরীয়াতের দৃষ্টিতে আযল বৈধ কি?

নিজের আযাদ স্ত্রীর সাথে আযল করা অর্থাৎ গর্ভসঞ্চার রোধের জন্য জরায়ুর বাইরে বীর্যপাত করা তার অনুমতি ব্যতীত জায়েজ নেই।

অন্য কোন মনিবের বাদী যদি কোন লোকের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকে, তবে উক্ত বাদীর মনিবের অনুমতি ছাড়া তার সাথে আযল করা জায়েজ নেই।

অবশ্য নিজের বাদীর সাথে তার অনুমতি ছাড়াও আযল করা জায়েজ।

দাসীর মালিক হয়েই কি তার সঙ্গে যৌন আচরণ করা যায়?

যদি কেউ ক্রয়, দান অথবা উত্তরাধিকার সূত্রে কিংবা অন্য কোন উপায়ে  কোন বাদীর মালিক হয়, তবে তার মালিকানাধীন উক্ত বাদীর এক হায়েয,

পূর্ণ না হওয়ার পর্যন্ত সহবাস করা জায়েজ না। এমনকি সহবাসের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টিকারী কোন কাজ করাও তার জন্য জায়েজ হবে না।

আর যদি বাদী নাবালিকা কিংবা বৃদ্ধা হয় তবে তার সাথে সহবাস করা জায়েজ হবে।

মাসআলা:

যদি কারো মালিকানায় এমন দুটি বাদী থাকে যাদেরকে একই সাথে বিবাহ করা যায় না (যেমন দুই বোন) তাদের একজনের সাথে সহবাস করলে অপরজন তার উপর হারাম হয়ে যাবে।

প্রিয় পাঠক! লিখাটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন।

About Admin

আমার নাম: এইচ.এম.জামাদিউল ইসলাম ঠিকানা: সিলেট, বাংলাদেশ। আমি কোরাআনের খেদমতে আছি এবং MuslimBD24.Com সাইটের ডিজাইনার (Editor) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায়, তাই সময় পেলে দ্বীন ইসলাম প্রচারের সার্থে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখালেখি করি। যাতে করে অনলাইনেও ইসলামিক জ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞানহীন মানুষ, ইসলামিক জ্ঞান সহজে অর্জন করতে পারে। একজন মানুষ জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিজের জীবনকে ইসলামের পথে চালাতে গেলে ইসলাম সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করার দরকার, ইনশা-আল্লাহ! এই ওয়েব সাইটে মোটামুটি সেই জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। যদি সব সময় সাইটের সাথে থাকে। আর এই সাইটটি হল একটি ইসলামিক ওয়েব সাইট । এ সাইটে শুধু দ্বীন ইসলাম নিয়ে লেখালেখি হবে। আল্লাহ তায়ালার কাছে এই কামনা করি যে, আমরা সবাইকে বেশী বেশী করে ইসলামিক জ্ঞান শিখার ও শিখানোর তাওফিক দান করুন, আমিন। তাজবীদ বিষয়ে কিছু বুঝতে চাইলে যোগাযোগঃ 01741696909

Check Also

অধিক হারে ইস্তেগফারের ফজিলত

ইস্তেগফারের ফজিলত

হামদ ও সালাতের পর… রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যত ভালো কাজ শিক্ষা দিয়েছেন, তাতে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost