(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
যাকাত ও সদকায়ে ফিতর ব্যতীত আর এক প্রকার সদকা আছে, তা হলো নফল সদকা।
নফল সদকা – যা মা-বাবা, আত্নীয়-স্বজন, এতিম, মিসকিন, প্রতিবেশী ও ভিক্ষুক প্রমুখকে দেয়া যায়।
মৌলিক প্রয়োজন, ঋণ, জরুরী খরচাদি ও ওয়াজিব হকসমূহ আদায় করার পর যা বাড়তি থাকে তা থেকে এ সকল সদকা আদায় করা উত্তম।
আর গোনাহের কাজে এ সদকা ব্যয় করবে না।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার বিজয়ের পর তার পবিত্র স্ত্রীগণকে এক বছরের খোরপোষ অগ্রিম প্রদান করেছিলেন।
কিন্তু নিজের জন্য কিছুই সঞ্চয় করেননি। যা কিছু তার হাতে আসতো তা তিনি আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় দান করে দিতেন।
হযরত বেলাল (রাযি:)- কে তিনি বলতেন:
“বেলাল! খরচ করতে থাক, আরশের মালিক থেকে অভাবের ভয় করো না।”
তবে অপ্রয়োজনীয় কাজে সম্পদ খরচ করবে না। কেননা অপচয়-কারীকে আল্লাহ তায়ালা শয়তানের ভাই বলে আখ্যায়িত করেছেন।
কোন জাতীয় খরচকে অপচয় বলে
অপচয় হলো এমন কাজে ব্যয় করা যাতে কোন সওয়াব বা দুনিয়াবি ফায়দা নেই।
মুলত: নিজের প্রতি যতটুকু হক রয়েছে তার অধিক গুরুত্ব দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।
নফল সদকা কাদেরকে দেয়া বেশী উত্তম
নফল সদকা সর্বাগ্রে হাশেমী গোত্রের লোকদের প্রদান করা উচিৎ। কেননা তাদের জন্য যাকাত খাওয়া হারাম।
আর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আত্নীয় হিসেবে বিনয় ও শ্রদ্ধার সাথে তাদেরকে দান করতে হবে।
মাসআলা: নফল সদকা জিম্মিদের (যে সকল কাফের ইসলামী রাষ্ট্রের কর দিয়ে বসবাস করে) প্রদান করা জায়েজ আছে।
কিন্তু হরবীদের (কাফের রাষ্ট্রে নাগরিক)- কে দেয়া,জায়েজ নয়।
মাসআলা: তিনদিন পর্যন্ত মেহমানের মেহমানদারী করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ, তার পর মুস্তাহাব।