(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
সদকায়ে ফিতর নিজের এবং নিজের নাবালেগ সন্তানদের পক্ষ হতে আদায় করবে, যদি তারা নেসাবের মালিক না হয়।
আর তারা নেসাবের মালিক হলে তাদের মাল থেকেই সদকায়ে ফিতর আদায় করবে।
নিজের খেদমতের গোলাম চাই মুদাব্বির হোক কিংবা উম্মে ওয়ালাদ হোক তাদের পক্ষ থেকে সদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে।
তবে ব্যবসার গোলামের পক্ষ হতে এবং নিজের স্ত্রী, বালেগ সন্তানাদি ও মুকাতাব গোলামের পক্ষ হতে সদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে না।
তদ্রূপ কোন গোলাম মালিকের নিকট থেকে পালিয়ে গেলেও তার ফিতরা আদায় করতে হবে না, তবে পরে ফিরে আসলে আদায় করে দিবে।
সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত কি কি
ঈদুল ফিতরের দিন কোন স্বাধীন মুসলমান নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
উক্ত নেসাব ঋণ এবং মৌলিক প্রয়োজনাদির অতিরিক্ত হতে হবে। তবে তা বর্ধনশীল মাল হওয়া শর্ত নয়।
এরূপ নেসাবের অধিকারী ব্যক্তির জন্য সদকা গ্রহণ করা হারাম।
নেসাব কত প্রকার ও কি কি
নেসাব তিন প্রকার হতে পারে। প্রথমত : যার কাছে শুধু এক দিনের খাদ্য মওজুদ থাকে, এছাড়া আর কিছুই না থাকে।
এ পরিমাণ মালের মালিকের উপর ভিক্ষা করা হারাম। যাকাত ও সদকায়ে ফিতরের মাল গ্রহণ করা তার জন্য হালাল।
তবে এ ধরনের ব্যক্তি যদি অন্য প্রয়োজনে সওয়াল করে তা জায়েজ হবে। দ্বিতীয়ত: যার কাছে নেসাব পরিমাণ স্বর্ণ-রৌপ্য বা গৃহপালিত পশু নেই।
তবে অন্য মাল এ পরিমাণ আছে যার মূল্য সাড়ে সাত তোলা সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার পরিমাণ হয়।
তাহলে মালিকের উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ও কুরবানি করা ওয়াজিব হবে এবং সে যাকাত ও ফিতরার মাল গ্রহণ করতে পারবে না।
তৃতীয়ত: সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য অথবা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণের সমপরিমাণ ব্যবসার পণ্য থাকলে,
যাকাত, ফিতরা, কুরবানি ইত্যাদি আদায় করা ওয়াজিব হবে।
সদকায়ে ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
ঈদের দিন সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সদকা ফিতর ওয়াজিব হয়।
অতএব যে ব্যক্তি ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে মারা গেল বা সুবহে সাদিকের পরে জন্মগ্রহণ করল বা মুসলমান হলো তার উপর সফকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে না।
এক বা একাধিক গোলাম যদি একাধিক মালিকানায় থাকে তাহলে গোলামের ফিতরা দিতে হবে কি
এক বা একাধিক গোলাম যদি কয়েক মালিকের মালিকানায় থাকে,
তবে ইমাম আযম (রহ.)- এর মতে কোন মালিকের জন্য তাদের পক্ষ হতে সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব নয়।
সদকায়ে ফিতর কখন আদায় করা সুন্নত
ঈদের দিনের পূর্বেও সদকা ফিতর আদায় করা জায়েজ। তবে ঈদগাহে রওয়ানা হওয়ার আগে আদায় করা সুন্নত।
যদি কেউ ঈদের দিন সদকায়ে ফিতর আদায় করতে না পারে তবে অন্য কোন দিন আদায় করবে।