(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
রোগ আল্লাহর একটি নেয়ামত। আর এ নেয়ামত আমাদের মত দূর্বল ব্যক্তিদের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়।
তাই আমরা এর নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন পথ খুঁজি।বর্তমানে আমরা রোগ প্রতিরোধ করতে দুটি পথ অবলম্বন করি।
(১)ডাক্তারি ফর্মুলায় চিকিৎসা।
(২)ঝার-ফুক
এখানে আমি দ্বিতীয়টি নিয়ে আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ।
কুরআনের আয়াত ও আল্লাহর নাম বা দোয়ায়ে মা'ছুরা (তথা কোরআন+হাদিসে বর্ণিত দোয়া)র মাধ্যমে ঝার-ফুক করা সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয।
বহু হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এসব ঝার-ফুক ছিল কোরআনের আয়াত ও আসমায়ে হুসনা দ্বারা।
একারণে এসব
ঝার-ফুককে ফুকহায়ে কেরাম বৈধ বলেন।
লুমআত কিতাবে আছে
وهي جائزة بالقران و الاسماء الهية وما في معناها بالاتفاق
অর্থাৎ কোরআন ও আল্লাহর নাম বা অনুরূপ অর্থ বিশিষ্ট কিছু দিয়ে ঝার-ফুক করা বৈধ।
তবে পাচ ধরনের ঝার-ফুক অবৈধ।
(১) যে কালামের অর্থ জানা যায় না।
(২) আরবী ছাড়া অন্য ভাষায়।
(৩) ঝার-ফুকের নিজস্ব ক্ষমতা আছে মনে করে তার উপর ভরসা করা।
(৪) শিরক যুক্ত কালাম দারা।
(৫) কোরআনের আয়াত ও আল্লাহর নাম বা সিফাত কিংবা দোয়ায়ে মা'ছুরা ছাড়া অন্য কিছু দারা ঝার-ফুক করা অবৈধ।
তবে যে সব হাদিসে ঝার-ফুক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তার দারা ঐ পাচ প্রকার ঝার-ফুক উদ্দেশ্য।যেমন আবু দাউদ শরীফে এসেছে
ان الرقي و التمائم و التوالة شرك
অর্থাৎ ঝার-ফুক,তাবিজ,স্ত্রীকে স্বামীর নিকট প্রিয় করার যাদু শিরক।