লন্ডনে একটি ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে যে, বৃটেনে শিশুদেরকে চুরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে।
সেখানে দেশের সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদেরকে এ বিষয়ের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
বিশেষত: চুরি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো যেমন সিধ কাটা, দোকান পাটের মালপত্র চুরি করা,
লোহার তালা ও তরবারি ভাঙ্গার বিশেষ ও উন্নতর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
তাদের ভাষ্য হল- অর্থনৈতিক উন্নতির এ যুগে যেখানে মানব জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে উন্নতি অগ্রগতি হচ্ছে,
সেখানে চোরের সংখ্যাও যতেষ্ট পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মিষ্টার বার্থ নামের এক দোকানি জানান যে, আমি যে ষ্টোরে চাকরি করি,
সেখানে ১৯৫৫ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রতি পনর ঘন্টায় নূন্যতম একটি চুরির ঘটনা ঘটত।
আর এখন প্রতি এগার ঘন্টায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।
যে সকল ষ্টোরে পাহারাদারি কিছুটা দুর্বল ও শিথিল, সেখানে প্রতি পাচ ঘন্টায় একটি করে চুরি হয়ে থাকে।
বার্থ আরো বলেছেন যে, আমাদের ফার্ম থেকে ১৯৫৬ ইংরেজিতে দুই হাজার তিনশত তেষট্টিটি চোর হাতে নাতে ধরা পড়ছে।
১৯৬৬ ইংরেজিতে ধরা পড়েছে অনুমানিক ১৯৫৬ থেকে দ্বিগুণ।
আর আমরা প্রায় পচিশ হাজার টাকার চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করেছি।
গ্রেফতারকৃতদের মাঝে মহিলার গড় সংখ্যা হল ৭৬ শতাংশ, আর পুরুষের গড় সংখ্যা হল ২৪ শতাংশ।
এর মধ্যে অধিকাংশ হল উঠতি বয়সের যুবক যুবতি।
গ্রেফতার কৃতদের মধ্যে শতকরা ছিষট্টিজনকে ষ্টোর মালিক ডাট ধমক দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।
স্রেফ চৌত্রিশ শতাংশকে আদালতের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে আদালত থেকে সাজা প্রাপ্তের সংখ্যা মহিলারা হয় শতকরা দশ ভাগ।
(দৈনিক তাশরিক-১৯ শে এপ্রিল, ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ)