(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
যারা স্বামী স্ত্রী, তারা সবসময় একটি কথা মাথায় রাখবেন। আপনাদের সন্তানরা একসময় বড় হবে।
জীবিকার খোঁজে হয়তো আপনাদের থেকে অনেক সময় দূরে গিয়েও থাকবে।
একসময় আপনাদের সন্তানদেরও বিয়ে হবে, তাদেরও আলাদা সংসার হবে। আপনার গুরুত্ব কিছুটা হলেও থিতু হবে।
দিনশেষে থাকবেন আপনারা দুজন, স্বামী আর স্ত্রী। তাই সম্পর্কে গুরুত্ব দেওয়াটা জরুরি।
জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংসার টিকিয়ে রাখতে উভয়ের যা করা জরুরী সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হইল।
✍️সবসময় ঠান্ডা মাথায় কথা বলবেন। গলার আওয়াজ বাড়াবেন নাহ। গলার আওয়াজ বাড়িয়ে কথা বললে তা ঝগড়াতে রুপান্তরিত হয়ে যাবে।
✍️ কখনোই আপনার সঙ্গীর পিতামাতাকে খোঁটা বা হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলবেন নাহ। এতে করে সম্পর্কে মারাত্মক ফাটলের সৃষ্টি হয়।
✍️যদি কথা কাটাকাটি হয়েই যায়, তাহলে অন্তত এমন রূঢ় আচরণ করবেন না যেটা আপনার সঙ্গীর কলিজায় গিয়ে বিঁধে যায়।
✍️কখনোও আপনার সঙ্গীর পরিবার নিয়ে কিংবা তার কোন সংবেদনশীল জায়গা নিয়ে খোঁটা দিবেন নাহ। এটা সংসারে অশান্তি আনে।
✍️ স্বামী স্ত্রীর দুজনের সংসারে অন্যের মাখানো কথাতে বিশ্বাস করা যাবেনা। এতে করেও সংসারে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুনঃ আদর্শ পরিবার গঠনে স্বামী ও স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য
✍️ সঙ্গীর সাথে ভূল বোঝাবুঝি হলে নিজে গিয়ে আগে সরি বলার চেষ্টা করুন।
✍️ কিছু হলেই ‘ঘর থেকে বের হয়ে যাও' এমন কথা একদমই বলবেন নাহ।
এতে করে আপনার সঙ্গীর এই সংসারের প্রতি আস্থা, ভালোবাসা একেবারেই উঠে যেতে পারে। এটা তারও সংসার।
✍️ একটু রাগ হলেই, বাপের বাড়ি চলে যাবো কিংবা ব্যাগ গোছানো এসব করাও বন্ধ করতে হবে
আরো পড়ুনঃ একজন আদর্শ মা হতে যে পরামর্শ জানতে হবে
✍️ ভূলেও সঙ্গীর গায়ে হাত তোলা যাবেনা। একদমই করা যাবেনা এটি।
যত বড় ভূলই করুক(কোরআনে বর্ণিত নিয়মের বহির্ভূত) তার গায়ে কখনোই হাত তুলবেন নাহ। নিজের ইজ্জত বজায় রাখুন৷