দ্বিতীয় পর্ব পড়তে নিচের লেখাতে ক্লিক করুন
ঈমানের পরিচয় ও তাঁর প্রকার ২য় পর্ব ।।
ঈমানের পরিচয় ও তাঁর প্রকার
৩য় পর্ব
৬. ঈমানের মাঝে কোন সন্দেহ থাকা কুফর।এজন্য সন্দেহের সাথে বলা যাবে না, ইনশাআল্লাহ আমি মুমিন’।
৭. হারাম জেনে কোন মুমিন গুনাহ করলে ঈমান থেকে বেরিয়ে যায় না। চাই তা গুনাহে কবিরা হোক বা সগিরা।
তবে কোন গুনাহ যদি স্পষ্ট কুফুর বুঝায় তাহলে তা ভিন্ন। যেমন আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করা।
কুরআনকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া (নাউজুবিল্লাহ),বা অন্যভাবে অপমান করা ইত্যাদি।
৮. ঈমান আনার পর যত গুনাহই করুক, কোন ক্ষতি হবে না, এটা ভুল আকিদা
৯. কোনো মুমিন কে ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানের গণ্ডি থেকে বের করা যাবে না, যতক্ষণ না সে এমন কোনো বিষয়কে অস্বীকার করবে,
যা সে বিশ্বাস করার মাধ্যমে ইসলামের প্রবেশ করেছে।অর্থাৎ পরবর্তী সময়ে জবানে অস্বীকার করা বা অন্তরে অবিশ্বাস করা
অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অকাট্য ভাবে প্রমাণিত কোন বিষয়কে বিশ্বাস ও সত্যায়ন না করা।
ইমাম তাহাবি রহ.বলেন,বান্দা ঈমান থেকে বের হবে না। তবে যদি সে এমন কিছু কে অস্বীকার করে,
যা বিশ্বাসের মাধ্যমে সে ইসলামের প্রবেশ করেছে,তাহলে ঈমান থেকে বেরিয়ে যাবে।আল- আকিদাতুত তাহাবিয়া-২১)
১০. ঈমান ও কুফরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সাব্যস্ত হয় মৃত্যুর সময়। যেমন কেউ সারা জীবন মুসলিম ছিল,
কিন্তু মৃত্যুর সময় নিজ ইচ্ছায় কুফরি কালিমা উচ্চারণ করে মৃত্যুবরণ করল, তাহলে সে কাফের বলে সাব্যস্ত হবে।
আরেকজন সারা জীবন কাফের ছিল, কিন্তু প্রাণ কণ্ঠনালীতে আসার আগে ঈমানসুলভ কোনো কালিমা উচ্চারণ করল, তাহলে সে মুমিন বলে সাব্যস্ত হবে।
তবে কতক মুহাক্কিক আলেমের মত হচ্ছে, এ সময় মুমিনের তাওবা কবুল হবে, কিন্তু কোনো কাফেরের ঈমান কবুল হবে না।
১১. গারগারা বা প্রাণ কণ্ঠনালী আসার পর কিংবা স্বচক্ষে পরকালীন বিভিন্ন আযাব ও অবস্থা প্রত্যক্ষ করতে থাকাবস্থায় ঈমান আনলে বা তাওবা করলে কবুল হয় না।
অনুরূপ কেয়ামতের পূর্বে পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়ের পর কারো তাওবা ও ঈমান কবুল করা হবে না;কারণ মুমিন বলা হয় ,
যে আল্লাহ তায়ালা ও তার থেকে বর্ণিত সকল বিষয়ের উপর না দেখেই ঈমান আনবে যদিও কোন বিষয় তার বোঝে না আসে।
সূত্র:বুনিয়াদি আকাইদ
লেখক: মাওলানা বেলাল বিন আলী