ঈমানের পরিচয় ও তাঁর প্রকার
১ম পর্ব
১ .ঈমানের আভিধানিক অর্থ বিশ্বাস ও সত্যায়ন করা,যেমন ইউসুফ আ. এর ভাইয়েরা তাদের বাবাকে বলেন,
وما انت بمؤمن لنا ولو كنا صادقي
আপনি তো আমাদের কথা বিশ্বাসই করবেন না যদিও আমরা সত্যবাদী হই ( সুরা ইউসুফ১৭)
২. ঈমানের পারিভাষিক অর্থ
যে সকল বিষয় রাসুল সা. থেকে প্রমাণিত, তা বিশ্বাস ও সত্যায়ন করা এবং মনে-প্রাণে মেনে নেওয়া যেগুলো বিস্তারিত
তার ওপর বিস্তারিতভাবে ঈমান আনা আর যেগুলো সংক্ষিপ্ত রূপে প্রমাণিত, তার ওপর সংক্ষিপ্ত রূপে ঈমান আনা।
৩. ঈমানের দাবী হলো
কোন ধরনের সন্দেহ সংশয় ছাড়া প্রশান্তচিত্রে বিশ্বাস করবে এবং স্বীকার করবে আল্লাহ সত্য ইসলাম সত্য এবং
সর্বশেষ নবী (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা কিছু নিয়ে এসেছেন সব সত্য
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
হে ঈমানদারগণ ঈমান আনো আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি এবং সেই কিতাবের প্রতি ,
যা তিনি তার রাসুলের উপর নাজিল করেছেন এবং ওই কিতাবের প্রতি যা তিনি পূর্বে নাযিল করেছেন ।
আর যে অস্বীকার করবে আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাব সমূহ, তাঁর রাসূলগণ ও কিয়ামত দিবসকে, সে চরম গোমরাহীতে লিপ্ত হবে। (সূরা নিসা ১৩৬)
সাধারণ মুসলিমদের জন্য হাদিসে জিবরীল অনুযায়ী ঈমান রাখাই যথেষ্ট।
সে বলল, আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন।রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ঈমান এই যে, তুমি আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ,
তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর প্রেরিত নবীগণ ও শেষ দিবসের উপর ঈমান রাখবে এবং তুমি তাকদিরের ভালো ও মন্দের প্রতি ঈমান রাখব।(মুসলিম ১)
ইমাম আবু হানিফা রহ বলেন,
তাওহীদের মূল এবং যার উপর বিশ্বাস বিশুদ্ধ হয় তা এই যে, অবশ্যই বলতে হবে আমি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ,
তাঁর গ্রন্থ সমূহ, তাঁর রাসুলগণ, শেষ দিবস, মৃত্যু পরবর্তী পুনরুত্থান, তাকদীর, যার ভালো মন্দ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং হিসাব,
মিজান, জান্নাত, জাহান্নামের উপর ঈমান এনেছি। আর এই সবই সত্য।(আল ফিকহুল আকবার,৪)
সূত্র :বুনিয়াদি আকাইদ
লেখক: মাওলানা বেলাল বিন আলী