মুসলিমবিডি২৪ডটকম
শিক্ষনীয় ঘটনাঃ
বোখারা শহরে এক স্বর্ণের দোকানদার
ছিলো। ঘরে ছিলো তার সুন্দরী স্ত্রী। নিয়ম
অনুযায়ী একদিন রাতে লোকটি ঘরে এসে
দেখল তার স্ত্রী বসে বসে কাঁদছে। কারণ
জিজ্ঞেস করলে স্ত্রী বললো, আজকে অনেক
বড় গোনাহ হয়ে গেছে। স্ত্রী বললো, যে
লোকটি অনেক দিন যাবত আমাদের ঘরে দুধ
দিয়ে যেত সে আজকে দুধ দেয়ার সময় আমার
হাত ধরে টিপাটিপি করছে। সাবালিকা
হবার পর থেকে এ পর্যন্ত আপনি ছাড়া কেউ
আমার হাত ধরেনি। অভাবনীয় এই
পাপাচারের কারণে আমি ক্ষোভ ও দুঃখের
অনলে দগ্ধ হচ্ছি প্রতিনিয়ত; আর কান্না
করছি অবিরত। এই কথা শুনে স্বামীর চোখ
দিয়ে ঝরঝর করে অশ্রু বের হয়ে এলো।
লোকটি বলল, আজকে দোকানে এক মহিলা
কাস্টমারকে স্বর্ণের চূড়ি পরানোর ছলে তার
হাত ধরে আমি টিপাটিপি করছিলাম,
ব্যাভিচারের যেই ঋন আমি নিয়েছিলাম
স্বীয় কাঁধে, সেই ঋণ তুমি শোধ করেছ। আজ
এই মূহুর্তে আমি আল্লাহর কাছে তাওবা
করছি আমরণ আর কখনো ব্যাভিচার করবোনা।
তবে তোমার কাছে আমার একটি অনুরোধ,
আগামী কাল দুধওয়ালা তোমার সাথে কি
ব্যবহার করে আমাকে দয়া করে বলবে।
পরদিন স্বামী দোকানে চলে গেলো এবং
যথাসময়ে দুধওয়ালা দুধ দিতে এসে
কালক্ষেপন না করে মহিলাটির পায়ে পড়ে
বললো মা ! শয়তানের প্ররোচনায় প্রতারিত
হয়ে গতকাল অনেক বড় গুনাহ করে ফেলেছি
এবং বিনিদ্র রজনী যাপন করে মাওলার
দরবারে তাওবা করেছি, এধরনের পাপাচার
আর কোনদিন করবনা; দয়াকরে আপনি
আমাকে ক্ষমা করে দিন। মহিলাটি তাকে
ক্ষমা করে দিল। রাতে যখন স্বামী দোকান
থেকে ফিরলো স্ত্রী পুরো ঘটনা তাকে
জানালো পরে স্বামী আনন্দ চিত্তে বললো
পরিবারের পুরুষরা যদি পরনারীর অবৈধ
উৎসর্গ থেকে তাওবা করে, তাহলে পৃথিবীর
তাবৎ পুরুষ সেই পরিবারের নারীদের অবৈধ
সংসর্গ থেকে তাওবা করবে।
তথ্যসূত্র -: তাফসিরে রুহুল বায়ান।