(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
কা'ব ইবনে আশরাফ ছিল বিশিষ্ট ইহুদি পন্ডিত। সে আল্লাহতে বিশ্বাস পোষণ করত এবং তার ইবাদত বন্দেগি করত। কিন্তু তার মন মস্তিষ্কে যখনই রৈপিক
কামনা-বাসনার বিশ্বাস চেপে বসল। তখন সে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোরাইশদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে পরোচিত হয়। কোরাইশরা তার সাথে
ঐক্যজোট করার জন্য শর্ত আারোপ করল যে, তাকে আমাদের দেব-দেবির সামনে সেজদা করতে হবে। সে তা মেনে নিল। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো
যে তার ধর্মীয় জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও তার উপর সে আমল করলো না, নিজ জীবনে বাস্তবায়িত করলো না। কাজেই সে নিজের ধর্মের বিরুদ্ধে স্বীয় স্বার্থ
বাস্তবায়িত করলো বটে কিন্তু নিজের ধর্ম বিশ্বাসকে ঠিক রাখার জন্য তাদের থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া পছন্দ করলো না। এতে প্রতিমান হচ্ছে যে শুধু
কিতাব সম্পর্কিত এলেম বা জ্ঞান থাকাটাই কল্যাণ, অমঙ্গল করা হতে বিরত রাখতে পারে না। যে পর্যন্ত না যথার্থভাবে তার অনুসরণ করা হবে এবং যে
পর্যন্ত না হীন প্রার্থিব লোভ-লালসা ও কামনা বাসনাকে পরিপূর্ণরূপে বর্জন করতে পারবে। তা না হলে মানুষ তার ধর্ম হেন প্রিয় বস্তুকে রৈপিক কামনা
বাসনার বলিতে পরিণত করা থেকে বাঁচতে পারবে না। ইদানিংকালেও কোন কোন লোক এমন রয়েছে যারা জৈবিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ ও উদ্দেশ্য
সাধনের জন্য স্বীয় সত্য মতকে অতি সহজে বর্জন করে বসে এবং ধর্ম বিবর্তিত বিশ্বাস ও মতবাদকে ইসলামের ছদ্মবরণে উপস্থিত করার যথাসাধ্য চেষ্টা
করে। না তাদের মনে আল্লাহর সাথে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির কোন পরোয়া থাকে আর না থাকে আখেরাতের কোনরকম ভয় ভীতি। বস্তুতঃ এ
সবকিছু সত্য সঠিক মতবাদকে বর্জন করে শয়তানের ইঙ্গিতে চলার পরিণতি।