পুরুষের টেস্টোস্টেরন বাড়ায় যেসব খাবার!
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহে নানা রকম রোগ বাসা বাঁধে।
কিছু কিছু রোগ পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে।
পুরুষের টেস্টোস্টেরন সমস্যাও তার মধ্যে একটি।
বয়স ত্রিশ পেরোনোর পর পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে।
এই হরমোনের ঘাটতি হলে পুরুষের শরীরের নানান রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এর ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের পাশাপাশি কামবাসনা কমে যাওয়া,
লিঙ্গোত্থানে সমস্যা, খারাপ মেজাজসহ মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।
তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কিছু
খাবার খাওয়ার অভ্যাস করলেই উপকৃত হওয়া সম্ভব।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চলুন জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে
রসুন
রসুনের আলিসিন যৌগ মানসিক চাপের হরমোন করটিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ফলে টেস্টোস্টেরন ভালোমতো কাজ করে।
ভালো ফল পেতে রসুন কাঁচা খাওয়ার অভ্যেস করুন।
ডিম
ডিমে আছে স্যাচারেইটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রিএস,
ভিটামিন ডি, কলেস্টেরল এবং প্রোটিন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরির জন্য এই উপাদানগুলো জরুরি।
কলা
এই ফলের ব্রোমেলেইন এনজাইম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
আর দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করে।
কাঠবাদাম
নারী এবং পুরুষ উভয়ের ‘সেক্স ড্রাইভ'য়ের জন্য প্রতিদিন এক মুঠ কাঠবাদাম যথেষ্ট।
এই বাদামে রয়েছে জিঙ্ক যা টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ায় আর কামবাসনা বৃদ্ধি করে।
মধুতে আছে প্রাকৃতিক নিরাময়কারী উপাদান বোরোন।
ফিজিক্যাল রিলিশন একটা মারাত্মক ভুল পদক্ষেপ
এই খনিজ উপাদান টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে
এবং নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা ঠিক রাখে।
যা ধমনী সম্প্রসারণ করে লিঙ্গোত্থানে শক্তি সঞ্চার করে।
বাঁধাকপি
এই সবজিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।
আরো আছে ইনডোল থ্রি-কার্বিনল।
এই উপাদান স্ত্রী হরমোন ওয়েস্ট্রজেনের পরিমাণ কমিয়ে
টেস্টোস্টেরন বেশি কার্যকর করে তোলে।
ঝিনুক
টেস্টোস্টেরন তৈরিতে জিংক গুরুত্বপূর্ণ।
ঝিনুকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ উপাদান।
যা টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
ঝিনুক পছন্দ না, তাহলে বিকল্প হতে পারে চিজ বা পনির।
বিশেষ করে সুইস এবং রিকোত্তা চিজ।
টকফল
‘স্ট্রেস হরমোন' কমানোর পাশাপাশি টকজাতীয় ফলে রয়েছে ভিটামির এ।
যা টেস্টোস্টেরন উৎপন্ন করতে প্রয়োজন হয়।
এছাড়া ওয়েস্ট্রজেনের মাত্রা কমায় অর্থাৎ পুরুষ হরমোন ভালোমতো কাজ করতে পারে।
পালং শাক
এটা প্রমাণিত যে, ওয়েস্ট্রজেনের মাত্রা কমাতে পারে এই শাক।
তাছাড়া আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন সি এবং ই।
আর এসবই টেস্টোস্টেরন তৈরির উপাদান।
আঙ্গুর
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে,
প্রতিদিন একথোকা লাল আঙুর খাওয়া গেলে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়,
শুক্রাণুর তৎপরতা উন্নত করে আর শক্তিশালী করে।
ডালিম
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইম্পোটেন্স রিসার্চ থেকে জানা যায়,
যৌন কর্মে অক্ষম পুরুষদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ যারা প্রতিদিন
ডালিমের রস খেয়ে থাকেন,তাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
গোশত
বিশ্বাস করা হয় যারা একেবারেই মাংস খান না,
তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কম থাকে।
তবে অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার আগে সাবধান।
মেয়েদের কাপড় শুকানোর ক্ষেত্রে যে সর্তকতা অবলম্বন করবেন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান,
গরু ও ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি খাবারে প্রচুর স্যাচারেইটেড ফ্যাট থাকে।
মানসিকভাবে সুস্থ থাকার কিছু জরুরী টিপস
সূত্র ডেইলি বাংলাদেশ