(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
মহানবী (সা:) তারাবীহ এর নামাজ পড়েছিলেন রমজানের কোন কোন রাতে।
কিন্তু উম্মতের উপর ইহা ফরজ হয়ে যাবার ভয়ে তিনি এর উপর স্থায়ীভাবে আমল করেননি। (বুখারী, মুসলিম)।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, হুজুর (সা:) রমজানের তারাবীহ এর নামাজ বিশ রাকাত পড়তেন।
(বায়হাকী, ত্বারবানী, ইবনে আবিশায়বাহ)
অত:পর দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনে খাত্তাব (রাযি:) এর যুগে বিশ রাকাত তারাবীহ এর নামাজ পূর্ণরূপে প্রচলিত হয় এবং সমস্ত সাহাবায়ে কিরামের ইজমা বা ঐক্যমত্য সিদ্ধান্ত হয়।
কেউই এর উপর কোন আপত্তি অভিযোগ করেননি। অন্যদিকে মহানবী (সা:) এর সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে:
“আমার এবং হিদায়তপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাত পালন তোমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। তোমরা তা শক্তভাবে এবং দৃঢ়দন্তে আকড়ে ধর।”
(আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ)
উক্ত হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, বিশ রাকাত তারাবীহ এর প্রমাণ যদি আল্লাহর রাসূল থেকে সরাসরি না-ই থাকে,
তবুও হযরত উমর (রাযি:) এর যুগে প্রতিষ্ঠিত বিশ রাকাত পালন করা উম্মতের জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও ইজমা হল শরীয়তের চার প্রমাণের অন্যতম।
আর তারাবীহ এর নামাজ বিশ রাকাতের উপর সাহাবায়ে কিরামের ইজমা' রয়েছে এবং এর উপর চার মাযহাবের সকল ইমামেরও ইজমা' বিদ্যমান।
চার মাযহাবেই তারাবীহ এর নামাজ বিশ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ অপর দিকে বায়তুল্লাহ শরীফে এখনো বিশ রাকাত তারাবীহ এর নামাজ বিদ্যমান আছে।
(মুগনী লে ইবনে কুদামাহ ১/৮০৩)
অতএব, তারাবীহ এর নামাজ বিশ রাকাতই আদায় করতে হবে। এর মধ্যে মোটেই কম করা যাবে না।
তারাবীহ এর নামাজ কাদের জন্য
তারাবীহ এর নামাজ শুধু পুরুষদের জন্য নয় বরং নারী-পুরুষ সকলের জন্যই সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
(ফাতাওয়ায়ে শামী-২/৪৩)