মুসলিমবিডি২৪ডটকম
বিবাহের সময় কোন ছেলে কাঁদে না,ছেলের মা বাবা কাঁদে না।
কেন কাঁদে না? কারণ ছেলে বিবাহের মাধ্যমে কোন কিছু হারায় না,বরং অর্জন করে।তাই তাদের মুখে থাকে অর্জনের হাসি, প্রাপ্তির তৃপ্তি।
বিবাহের আসরে কাঁদে শুধু মেয়ে আর মেয়ের মা বাবা।কেন কাঁদে একটি মেয়ে?
কারণ তাকে সবকিছু হারাতে হয়,সবকিছু ত্যাগ করতে হয়,মা বাবা কে ছেড়ে আসতে হয়,শৈশবের সব স্মৃতি মুছে ফেলতে হয়।
একটি মেয়ের জীবনে এটি অনেক বড় আঘাত। এ যেন একটি ছোট্ট গাছের চারাকে
শিকড়শুদ্ধ উপড়ে ফেলে বহু দূরে ভিন্ন পরিবেশে নতুন মাটিতে এনে রুপন করা।
বাকি জীবন এই মাটি থেকে রস আহর করে বেচেঁ থাকতে হবে।
হিন্দিতে বলে “আওরত কি ডোলি যাহা উত্যরাতি হ্যয়, উসকি আর্থী ওহী সে উটতি হ্যয়”
অর্থাৎ মেয়েদের পালকি যেখানে নামে সেখান থেকে তাদের জানাযা উটে।
কতবড় নির্মম সত্য এটা। তোমার স্ত্রী রূপে আসা মেয়েটির জখমী দিলে তাসাল্লির মরহম তোমাকেই দিতে হবে।
এক মাটি থেকে উপরে এনে অন্য মাটিতে রোপণ করা চারা গাছ থেকে দু দিন পরে ফল দাবি করা কতটা নিষ্টুরতা।
ফল পেতে হলে তোমাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। চারা গাছটির পরিচর্চা করতে হবে।
ধীরে ধীরে শিকড় যখন মাটিতে বসবে এবং মাটি থেকে রস সংগ্রহ করার উপযোগী হবে তখন ফল তোমাকে চাইতে হবে না,সজীব বৃক্ষ নিজ থেকে ফল দিতে শুরু করবে।
তো মায়ের মন তোমাকেই রক্ষা করতে হবে,আবার স্ত্রীর মনোরঞ্জন তোমাকেই করতে হবে।
সবদিক সবদিক সামাল দিয়ে চলতে হবে। কত কঠিন দায়িত্ব।
অথচ শিক্ষাঙ্গনে বা গৃহপ্রাঙ্গণে কোথাও এই বিষয়ে শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই।
তোমার কথা দ্বারা,আচরণ দ্বারা বাবা মা’কে বোঝাতে হবে আমি আপনাদের ছিলাম,আপনাদের আছি, থাকবো।
আপনারা আমার প্রাণ,আপনাদের সাথেই আমার নাড়ীর টান।
অপর দিকে স্ত্রীকে বোঝাতে হবে ,এই সংসার সমুদ্রে তুমি একা নও,
আমি তোমার পাশে আছি। এই পথে চলতে আমারও অনেক কষ্ট হবে তোমারও অনেক কষ্ট হবে।
সীমাহীন ধৈর্য রাখতে হবে। আমার পাশে তুমি আছো তোমার পাশে আমি আছি।
আমার কষ্টের সান্ত্বনা তুমি তোমার কষ্টের সান্ত্বনা আমি।
আমরা পরস্পরের কষ্ট হয়তো দূর করতে পারব না তবে অনুভব করতে পারব।
আল্লাহর কসম! এমন কোন নারী হৃদয় নেই যা এমন কোমল সান্ত্বনায় বিগলিত হবে না।
এই পদ্ধতিতে সংসার নিয়ন্ত্রণ করলে দুনিয়াতে পাওয়া যাবে জান্নাতের ছোঁয়া।