(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
নামাজে ২১টি সুন্নত রয়েছে
১. তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় দুই হাত কান পর্যন্ত উঠানো।
২. দুই হাতের আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক খোলা রেখে কিবলামুখী রাখা।
৩. তাকবীর বলার সময় মাথা না ঝুঁকানো।
৪. ইমাম তাকবীরে তাহরীমা ও অন্যান্য তাকবীর প্রয়োজন পরিমাণ উচ্চস্বরে বলা।
৫. বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে নাভির নিচে বাধা।
৬. সানা পড়া।
৭. আউযুবিল্লাহ পড়া।
৮. বিসমিল্লাহ পড়া।
৯. ফরজ নামাজের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়া।
১০. সূরা ফাতেহা পড়ার পর আমীন বলা।
১১. সানা, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ এবং আমীন আস্তে বলা।
১২. সুন্নত পরিমাণ কিরাত পড়া।
১৩. রুকু-সেজদায় তিন তিনবার তাসবীহ পড়া।
১৪. রুকুর অবস্থায় মাথা ও পিঠ নিতম্বের সমান রাখা এবং হাতের আঙ্গুলগুলো খোলা রেখে হাটুতে শক্ত করে ধরা।
১৫. রুকু, থেকে উঠতে ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ, মুক্তাদি রাব্বানা লাকাল হামদ, আর মুনফারিদ উভয়টি বলা।
১৬. সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে দুই হাটু, এরপর দুই হাত অত:পর কপাল রাখা।
১৭. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠক, প্রথম ও শেষ বৈঠক বাম পা বিছিয়ে এর উপর বসা।
ডান পা এমনভাবে খাড়া রাখা যে, আঙ্গুলের মাথা কিবলামুখী থাকে। আর দুই হাত রানের উপর রাখা।
১৮. তাশাহহুদে “আশহাদু আল্লা ইলাহা” বলার সময় শাহাদত আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করা।
১৯. শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর দুরূদ শরীফ পড়া।
২০. দুরূদ শরীফের পর দোয়ায়ে মাছুরা পড়া।
২১. প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে সালাম ফিরানো।
প্রশ্ন:- নামাজের সুন্নত বলতে কী বুঝায়?
উত্তর:- রাসূল করীম (সা:) নামাজে যেসব কাজ করেছেন বলে প্রমাণিত, তবে এগুলোর প্রতি ফরজ ও ওয়াজিবের মত গুরুত্ব দেননি। এগুলোকে নামাজের সুন্নত বলে।
প্রশ্ন:- নামাজের কোনো সুন্নত যদি ছুটে যায় বা ছেড়ে দেয়, তবে এর হুকুম কি?
উত্তর:- যদি ভুলবশত কোনো সুন্নত ছুটে যায়, তবে এতে নামাজ নষ্টও হবে না। সিজদায়ে সাহুও ওয়াজিব হবে না এবং গোনাহও হবে না।
আর ইচ্ছা করে সুন্নত ছেড়ে দিলেও নামাজ নষ্ট হবে না। সিজদায়ে সাহুও ওয়াজিব হবে না। তবে সে ব্যক্তি তিরস্কারের উপযুক্ত হবে।
(সূত্র: তালিমুল ইসলাম ৩য় খন্ড-৩৩)